টেলিগ্রাম রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যশোরের জনসভঅর মধ্য দি;য়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করলেন। তিনি আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে আরো একবারের মতো দেশ পরিচালনায় আওয়ামীলীগকে সুযোগ দেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আমাকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আমি আপনাদের কাছে ওয়াদা চাই, আগামী নির্বাচনেও আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সেবা করার সুযোগ দেবেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোর স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষন দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যশোরে জনসভা করতে পেরে আমি আনন্দিত। এই যশোরে আমার নাড়ির টান আছে। এখানের মাটিতে আমার মায়ের নানা শেখ জহুরুল হক শুয়ে আছেন। তিনি যশোরে চাকরি করতেন। আমার মায়ের বয়স যখন তিন বছর ছিল তখন তিনি মারা যান। ওই সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা এতই খারাপ ছিল যে তার লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। তাই আমার মায়ের নানাকে এখানে দাফন করা হয়েছে। এখানে আমার মরহুম শেখ জহুরুল হক স্মরণে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। যেখানে বেকার যুবক যুবতিরা প্রশিক্ষণ গ্রহনের মাধ্যমে কাজ করার সুযোগ পাবে।
যশোর শহরের শামস-উল হুদা স্টেডিয়াম সংস্কার করা হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এজন্য যা যা দরকার আমাদের সরকার কাজ করবে। আমি আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা চাই। একইসঙ্গে আপনাদের কাছে ওয়াদা চাই, আপনারা আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে আমাদের জয়যুক্ত করবেন। আপনারা যা চাইবেন, আমি তার চেয়ে বেশি দেবো। তার জন্য আপনাদের দুই হাত তুলে আগামীতে নৌকায় ভোট দেওয়ার ওয়াদা করতে হবে। এসময় জনতা দুই হাত তুলে প্রধানমন্ত্রীকে নৌকার পক্ষে তাদের সমর্থন দেখান্
দণিাঞ্চলে আরও উন্নয়নের প্রতিশ্রæতি দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, বিগত দিনে দেশের উন্নয়ন করেছি। আপনারা সুযোগ দিলে আগামী দিনেও উন্নয়ন করবো। কাজেই ওয়াদা দেন, আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করবেন।
যশোরবাসীর প্রতি গুজবে কান না দেওয়ার আহŸান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির কাজই হচ্ছে সব সময় গুজব ছড়ানো। ওরা নিজেরা কিছু করতে পারে না। মতায় যখনই এসেছে, লুটপাট করে খেয়েছে।
তিনি বলেন, যে বাংলাদেশকে খালেদা জিয়া রেখে গিয়েছিল; প্রায় ৪০ ভাগ মানুষ দরিদ্রসীমার নিচে বাস করতো। এটাকে আমরা কমিয়ে ২০ ভাগে এনেছি। আমরা যদি আরও কমাতে পারতাম তাহলে বাংলাদেশে দরিদ্র বলে কেউ থাকতো না। হত দরিদ্র ২৫ ভাগ ছিল, সেটা আমরা ১০ ভাগে নামিয়ে এনেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা মানুষের কথা চিন্তা করি। করোনার সময় আমরা মানুষের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ করেছি। এমন কোনো শ্রেণি-পেশার মানুষ নেই যাদের আমরা সহযোগিতা করিনি। যেসব স্কুল এমপিওভুক্ত না, সেসব শিকের কাছেও আমি টাকা পাঠিয়েছি। মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জিন থেকে শুরু করে আমাদের শিল্পী, প্রত্যেককে আমরা সহযোগিতা দিয়েছি। আমরা এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। টাকা আমরা জনগণকে দিয়ে দিয়েছি। গ্রামে গ্রামে টাকা পাঠিয়েছি যেন করোনার সময় কোনো মানুষের কষ্ট না হয়। তিনি বলেন দেশে টাকার কোন সংকট নেই সংকট বিএনপিতে। তাদের নেতারা টাকা চুরি ও অস্ত্র মামলায় সাজা ভোগ করছে। কিভাবে তারা দেশের মানুষ্যের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটাবে।
আপনার মতামত লিখুন :