টেলিগ্রাম রিপোর্ট : দলীয় শৃঙ্খলা ও সংগঠন পরিপন্থী কার্যকালাপের অভিযোগ এনে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের তিন সহ-সভাপতিসহ নয় নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়।
বহিষ্কৃত নয় নেতাকর্মী হলেন, কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শেখ সজিব, ফেরদৌস মাহমুদ, মীর আহসানুল হাসান, কর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক সিজান আহমেদ, মানবসম্পদ ও উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক অনিক আহম্মেদ, উপকৃষিবিষয়ক সম্পাদক আবদুর রাফি, সহসম্পাদক নাজমুস সাকিব, কুষ্টিয়া পৌর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক হাসিব কোরাইশী ও জেলা ছাত্রলীগের কর্মী জুয়েল আহমেদ।
বহিষ্কৃতরা সবাই জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জের ওপর হামলা এবং মারধরের মামলার আসামি।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের এক সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে, শৃঙ্খলা ও সংগঠন পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় তাদের বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারের বিষয়ে কথা বলার জন্য কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিকের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি কলটি রিসিভ করেননি।
তবে বহিষ্কৃত নেতা হাসিব কোরাইশী গতরাত ১২টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি পোস্ট করে তার প্রতিবাদ জানিয়ে লেখেন, ‘আমি ছাত্রলীগ করি না, আমি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের একজন কর্মী। আমি যে সংগঠন করি না, সেখান থেকে আমাকে বহিষ্কার করা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত আমার জানা নেই। অর্থনৈতিক লেনদেন এবং অনৈতিক কাজে সহযোগিতায় আপনারা (কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ) যে আছেন, সেটা বোঝা যাচ্ছে। যে মেয়েসহ ধরা পড়েছে, তাকে বহিষ্কার করেন। আমি আপনাদের এই সিদ্ধান্তের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি গঠন নিয়ে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির আতিকুর রহমান অনিকসহ একটি পক্ষের সাথে প্রকাশ্য বিরোধে জড়িয়ে পড়েন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ। এরই জের ধরে গত ২২ নভেম্বর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জকে তার খালার বাসা থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে এনে মারধর করেন ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী। ওই ঘটনার দুই দিন পর ২৪ নভেম্বর গভীর রাতে শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ বাদী হয়ে জেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাসহ ছাত্রলীগের পদধারী ১৬ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩৫ থেকে ৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ যে নয়জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে, তারা সবাই শেখ হাফিজের করা মামলার এজাহারে নাম উল্লেখ থাকা আসামি।
আপনার মতামত লিখুন :