টেলিগ্রাম রিপোর্ট : ‘অনরা ক্যান আছন? বেয়াগুন গম আছন নি? তোঁয়ারেল্লে আঁর পেট পুড়ের। এতল্লে ছাইতাম আস্যি। (আপনারা কেমন আছেন? সবাই ভালো আছেন তো? আপনাদের জন্য আমার প্রাণ কাঁদে। তাই দেখতে এসেছি।)’
এভাবে চট্টগ্রামের ভাঙা ভাঙা ভাষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভায় জড়ো হওয়া মানুষকে স্বাগত জানান। বক্তব্যের শুরুতে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের ভাষায় যখন কুশল বিনিময় করছিলেন, তখন উপস্থিত নেতা-কর্মীরাও তাঁর সঙ্গে জবাব দিচ্ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখে নিজেদের আঞ্চলিক ভাষা শুনে নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখতে আজ রোববার নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে সকাল থেকে নেতা-কর্মীদের ঢল নেমেছিল। নগর এবং বাইরের বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা জনসভায় যোগ দেন। সভার কার্যক্রম শুরু হয় দুপুর সোয়া ১২টার দিকে।
এরপর প্রধানমন্ত্রী বেলা ৩টা ৫ মিনিটে সভাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে চারদিক। মঞ্চের জ্যেষ্ঠ নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। ৩টা ৪০ মিনিটে তিনি বক্তব্য দিতে ওঠেন। এ সময় পুনরায় স্লোগান দেন নেতা-কর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের ভাষায় স্বাগত জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। পুরো বক্তব্যের বেশ কিছু অংশজুড়ে ছিল চট্টগ্রামের উন্নয়ন। তিনি বক্তব্যের শুরুতে ২৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া আরও চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী কর্ণফুলী টানেল, মিরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্পজোন, গভীর সমুদ্রবন্দরসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রসঙ্গে বলেন, ‘মহিউদ্দিন ভাই বলেছিলেন কর্ণফুলীতে আর যাতে নতুন সেতু না হয়। এখন কর্ণফুলীতে টানেল হলো। কিন্তু মহিউদ্দিন ভাই তা দেখে যেতে পারলেন না। আল্লাহ তাঁকে বেহেশত নসিব করুক।’
আপনার মতামত লিখুন :