ঢাকা ০৪ অক্টোবর ২০২৪, শুক্রবার, ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

জিতেও টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে জার্মানির বিদায়


টেলিগ্রাম রিপোর্ট প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২, ২০২২, ৬:০৫ অপরাহ্ণ / ২৭২২০ ০
জিতেও টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে জার্মানির বিদায়

টেলিগ্রাম রিপোর্ট : অবশেষে শঙ্কাই সত্যি হলো। টানা দুই বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গেল জার্মানরা। কোস্টারিকার সঙ্গে ৪-২ গোলে জয়ের পরও গ্রুপ পর্ব পার হতে পারল না মানুয়েল নয়্যারের জার্মানি।

জার্মানির ভাগ্য মূলত নিজেদের হাতে ছিল না। কোস্টারিকাকে হারালেও গ্রুপের অন্য ম্যাচে জাপান স্পেনকে হারালে বাদ পড়তে হতো তাদের। আর তেমনটাই হলো। গ্রুপ ‘ই’ থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক আউট রাউন্ডে উঠে গেছে জাপান। আর স্পেন উঠেছে রানার্সআপ হয়ে।

বিশ্বকাপে জার্মানি মানেই ফেবারিট এই কথাটা কেন বলা হয় কোস্টারিকার বিপক্ষে সেটাই যেন প্রমাণ করতে নেমেছিল জার্মানি। ম্যাচের শুরু থেকেই কোস্টারিকার গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকে ব্যস্ত রাখেন জার্মান ফুটবলাররা। আর সেই আক্রমণের শুরুটা করেন জার্মান তরুণ তুর্কি জামাল মুসিয়ালা। তবে নাভাসের দক্ষতায় সফল হতে পারেননি এই মিডফিল্ডার। ম্যাচের ৭ মিনিটে আবারও আক্রমণ সেই মুসিয়ালা।

এবার কোস্টারিকার ডিফেন্ডারের ফাঁকি দিয়ে পাস দেন সতীর্থ লিওন গোরেৎসকা। গোরেৎসকা সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি। ১০ মিনিটে কোস্টারিকা রক্ষণের তালা ভাঙতে সক্ষম হয় জার্মানি। জার্মানির পাওয়া প্রথম এই গোলটির উৎসও ছিলেন মুসিয়ালা। এই তরুণ ফুটবলার পাস দেন ডেভিড রোউমকে। তাঁর করা ক্রসে মাথা লাগিয়ে গোল করেন সার্জ নাবরি। জার্মানির জার্সিতে হেডে এটাই নাবরির প্রথম গোল।

প্রথম গোলের পর যেন আরও মরিয়া হয়ে ওঠে জার্মানি। যদিও কাঙ্খিত গোলটা পাচ্ছিল না তারা। তার বড় কারণ নাভাস। আক্রমণ সামলাতে ব্যস্ত থাকা কোস্টারিকা প্রথম সুযোগটা পায় ২৯ মিনিটে। তবে সে সুযোগ তাদের কাজে লাগেনি। তবে ৪০ মিনিটের পর জার্মান ডিফেন্ডারের কয়েকটি বড় ভুলে সুযোগ পেয়ে যায় কোস্টারিকা। যদিও নয়্যার জাদুতে কেশের ফুয়ের ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারেনি।

প্রথমার্ধ শেষের ছন্দ ধরেই রেখেই দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে কোস্টারিকা। মাঠে চাপে থাকা জার্মানদের চাপ আরও বাড়ে অন্য ম্যাচের স্পেনের বিপক্ষে জাপান ২-১ গোলে এগিয়ে গেলে। এমন চাপে পড়ে হ্যান্সি ফ্লিক মাঠে নামান নিকলাস ফুলক্রুগকে।

তবে তিনি মাঠে নেমে পার্থক্য গড়ার আগেই পার্থক্য গড়ে দেন কোস্টারিকার ইয়েলৎসিন তেহেদা। ৬০ মিনিটে জার্মান ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষক নয়্যারের ভুলে গোল করেন এই মিডফিল্ডার। এরপর একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে হ্যান্সি ফ্লিকের দল। বিশেষ করে তরুণ মিডফিল্ডার মুসিয়ালা। তবে ভাগ্যটা তার সঙ্গে ছিল না। কখনো নাভাসের অতিমানবীয় সেভ কিংবা কখনও গোলপোস্ট বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

জার্মানির বিপদ আরও বাড়ে কোস্টারিকা দ্বিতীয় গোল করলে। ম্যাচের ৭০ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় কোস্টারিকা। গোল করেন হুয়ান পাবলো ভারগাস। ম্পেনের বিপক্ষে হার এড়ানোর নায়ক ফুলক্রুগ জার্মানদের সমতা ফেরাতে বড় ভূমিকা রাখেন। তার সহায়তায় ৭৩ মিনিটে গোল করেন কাই হার্ভার্টজ। জার্মানদের সামেন এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল, নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন নাভাস। ৮৪ মিনিটে আবারও সেই হাভার্টজ গোল করলে ম্যাচ জেতে জার্মানি। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে আর ওঠা হয়নি

Archive Calendar

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031