টেলিগ্রাম রিপোর্ট : শুরু হয়েছে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি যুদ্ধ। তবে এই যুদ্ধের জন্য কোন পরীক্ষা দিতে হবে না। প্রয়োজন ভাগ্যের । লড়াইটা হবে লটারীতে। যার ভাগ্য ভালো সেই সেরা স্কুলে ভর্তির সুযোগ পাবে। তবে শিশু সন্তানদের এই ভর্তি যুদ্ধের প্রধান সৈনিক অভিভাবকবৃন্দের ঘুম খাওয়া হারাম হয়ে গেছে। অভিভাবকরা চান তাদের সন্তানকে ভাল বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করাতে। তারা ভাল বিদ্যালয় বলতে চেনেন যশোরের জিলা স্কুল, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজকেই বোঝেন।
এ তিনটি সরকারি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণি অনলাইনে ভর্তি জন্য আবেদনের সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয় ১৬ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর বিকেল পর্যন্ত। লটারী হবে ১২ ডিসেম্বর।
এ সময়ের মধ্যে তিনটি বিদ্যালয়ে ৫৩৫ আসনের বিপরীতে অনলাইনে আবেদন করেছে ৯ হাজার ১২৪ জন অভিভাবক। এর মধ্যে যশোর জিলা স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ২৩৭ আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩ হাজার ২৯১টি,সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ২৩৮ আসনের বিপরীতে ৩ হাজার ২৬৯জন আবেদন ও শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুলে ৬০ আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ২ হাজার ৫৬৪ জন। শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম জানান আবেদনের লটারী হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। সেখান থেকে ফলাফল দেয়ার পর শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবে। এক্ষেত্রে অনেকের ইচ্ছা থাকলেও এতিনটি বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে না।
জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষা শোয়াইব হোসেন জানান লটারীর বাইরে যারা অপেক্ষামান তালিকায় থাকবে। তাদেরও ভর্তি নেয়া হবে। কোন অনিয়ম করা হবে না।
ইতিমধ্যে অনেক অভিভাবক লটারীর অপেক্ষার প্রহন গুনছে। লটারীতে যদি টিকে যায় তাহলে সন্তানকে কাঙ্খিত স্কুলে ভর্তি করতে পারবেন। তা না হলে শহরের অন্য স্কুলে ভর্তি করতে হবে। লটারীতে না টিকলেও অনেক অভিভাবক সন্তানকে এ তিনটি বিদ্যালয়ে ভর্তির চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে জানান।
আপনার মতামত লিখুন :