টেলিগ্রাম রিপোর্ট : সামাজিকভাবে দুর্নীতিবাজদের বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।
তিনি বলেছেন, ‘এক সময় বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ছিল। এখন সেই অবস্থানে নেই। দুর্নীতি রাতারাতি দূর করা সম্ভব নয়। এজন্য দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।’
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
দুর্নীতিকে সামাজিক ব্যাধি আখ্যা দিয়ে দুদক চেয়ারমান বলেন, ‘এই ব্যাধি রাতারাতি দূর করা সম্ভব নয়, ক্রমান্বয়ে দূর হবে। দুর্নীতি থেকে উন্নতি করতে হলে সরকারি দফতর থেকে দেশের জনগণকে সচেতন হতে হবে। দুদক দুর্নীতি দূর করতে বদ্ধপরিকর, আমরা সেই উদ্দেশ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।’
দুর্নীতির অর্থ দ্বারা নতুন নতুন অপরাধের জন্ম হয় জানিয়ে মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, একটা সুন্দর সমাজ ও উন্নত রাষ্ট্র গড়ার প্রধান প্রতিবন্ধকতা হলো দুর্নীতি। সবার প্রতি আমার অনুরোধ দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করুন। আপনারা জানেন কারা দুর্নীতিবাজ। তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করুন।
এর আগে বেলুন উড়িয়ে ২০তম আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উদ্বোধন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে নতুন সাজে সেজেছে দুদক।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে অফিস ভবন, দুদকের মিডিয়া সেন্টার ও অফিসের পেছনের গেট দুর্নীতিবিরোধী ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৮টি বিভাগ, ৬৪টি জেলা এবং ৪৯৫টি উপজেলায় বড় পরিসরে উদযাপন হচ্ছে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস। একই সঙ্গে দেশে সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ, সরকারি-আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং পিকেএসএফসহ অন্যান্য এনজিওতে দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
জাতিসংঘ ২০০৩ সালের ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সে হিসেবে এবার হচ্ছে ২০তম আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস। সারা বিশ্বকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন এগেইনেস্ট করাপশনের (আনকাক) মাধ্যমে দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ আনকাকের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৭ সাল থেকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালন শুরু করে। যদিও সরকারিভাবে ২০১৭ সাল থেকে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. মোজাম্মেল হক খান, কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক, দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন এবং কমিশনের মহাপরিচালক ও আইনজীবীসহ সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আপনার মতামত লিখুন :