ঢাকা ১১ অক্টোবর ২০২৪, শুক্রবার, ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

প্রেম-পরকীয়া নিয়ে দুই নায়িকার বাহাস – হারিয়ে যাচ্ছে কি ভালো সিনেমার আলোচনা?


টেলিগ্রাম রিপোর্ট প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৪, ২০২২, ৯:০০ অপরাহ্ণ / ২৭২২০ ০
প্রেম-পরকীয়া নিয়ে দুই নায়িকার বাহাস  – হারিয়ে যাচ্ছে কি ভালো সিনেমার আলোচনা?
রেজানুর রহমান :  নাই কাজ তো খই ভাজ। এই কথার অনেক অর্থ দাঁড় করানো যায়। সত্যিকার অর্থে যার বা যাদের কোনো কাজ থাকে না তারা অনেকে একজনের কথা অন্যজনের কানে লাগানোর কাজ খুঁজে নেয়। একে বলা হয় কুমন্ত্রণা ছড়ানো। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিথ্যে তথ্য অথবা মিথ্যে সংবাদ প্রচারে ব্যস্ত থাকে এরা। অলস মস্তিস্ক শয়তানের কারখানা। শয়তান পৃথিবীর অদৃশ্য চরিত্র। অথচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। একবার যদি কেউ শয়তানের পাল্লায় পড়ে তাহলে তার আর রক্ষা নাই । আমাদের চলচ্চিত্রাঙ্গন বোধ করি শয়তানের পাল্লায় পড়েছে। শয়তান ‘আট ঘাট’ বেঁধে নেমেছে চলচ্চিত্রাঙ্গনে।

তা নাহলে যে সময়ে চলচ্চিত্রের প্রায় হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলমান, একসঙ্গে একাধিক ভালো সিনেমা দেশের চলচ্চিত্রে সম্ভাবনার আলো ফেলেছে, সাধারণ দর্শক অবার সিনেমা হল মুখি হচ্ছে সেই সময়ে এই ‘ভালো’র কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে কালো’র কথা কেন এত বেশি আলোচনা হচ্ছে? সহজ উত্তর শয়তান তার কারিশমা দেখাচ্ছে। আর দেশের প্রচার মাধ্যম বুঝে না বুঝে কোনো কোনো ক্ষেত্রে শয়তানের শয়তানিকেই উৎসাহ দিচ্ছে। মূলধারার প্রচার মাধ্যম এক্ষেত্রে দায়ী নয়। কিন্তু মূলধারার বাইরে তো অনেক ধারা। ঘরে ঘরে প্রচার মাধ্যম। ব্যাঙের ছাতার উপমাকেও হার মানায়। হাজার হাজার সাংবাদিক, সংবাদকর্মী। কোনটা খবর, কোনটা খবর নয় এই ধারণাও অনেকের নাই। তবে তারা ‘ব্যাড নিউজ ইজ গুড নিউজ’ এই ধারণাকে বেশ গুরুত্ব দেয়। ব্যাড নিউজ নাকি পাবলিক ‘খায়’ বেশি। আগে জানতাম নিউজ অথবা খবর পড়ার বিষয়। তবে এখন খবরও খাওয়ার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এই ‘খাওয়া’ মানে পাঠক, দর্শকের আগ্রহকে বোঝানো হচ্ছে। ভালো খবর পাবলিক নাকি খায় না। তাই খারাপ খবরের প্রতি তথাকথিত সংবাদকর্মীদের ব্যাপক আগ্রহ। অনেকে খারাপ খবর নিজেরাই তৈরি করে। নাটক সিনেমার নায়ক-নায়িকার খবর জানার ক্ষেত্রে অনেকেরই আগ্রহ প্রকট। সে কারণে অনেকেই নায়ক-নায়িকাদের মিথ্য খবর তৈরি করে। মন্ত্রণাদাতা হিসেবে অদৃশ্য চরিত্র শয়তান এর ভূমিকা এক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

একথা বোধ করি সকলেই স্বীকার করবেন, দেশের সিনেমা আবার ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি পেয়েছে। কলকাতায় কয়েকদিন আগে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আনন্দের খবর, কলকাতার দর্শক হুমড়ি খেয়ে বাংলাদেশের সিনেমা দেখেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের সিনেমার প্রতি তাদের আগ্রহ বেড়েছে। বহুল আলোচিত সিনেমা ‘হাওয়া’র প্রতি তাদের আগ্রহ ছিল বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা শেষে অনেকে ‘হাওয়া’ ছবিটি দেখার সুযোগ পেয়েছে। এই মুহূর্তে দেশে নির্মিত একাধিক ভালো ছবির নাম উল্লেখ করা যায়। হাওয়া, পরাণ, দামাল, রেহানা মরিয়ম নূর, রিকশাগার্ল, বিউটি সার্কাস, গুণিন এর প্রশংসা সবার মুখে মুখে। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এই ছবিগুলো নিয়ে মূলধারার প্রচার মাধ্যমেও সত্যিকার অর্থে গঠনমূলক কোনো সমালোচনা প্রকাশ হতে দেখিনি। একটা সময় দেশের দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক সব পত্রিকায় সিনেমার গঠনমূলক সমালোচনা ছাপা হতো। এখন ভালো-মন্দ কোনো সমালোচনাই চোখে পড়ে না। ভালো কাজের প্রশংসা করতে আমরা বোধ করি ভুলে গেছি। অথবা ঈর্ষাপরায়ণ হয়েও অনেকে ভালোকে ভালো বলছি না। এই সুযোগে ‘কালো’ উৎসাহ পাচ্ছে পুরোদমে। ভালোর জায়গায় কালোই খবরদারি করছে। আর কালোর মন্ত্রণাদাতা হিসেবে অদৃশ্য চরিত্র ‘শয়তান’ তো আছেই।

এই সময়টায় আমাদের শোবিজ নিয়ে প্রকৃত অর্থে প্রচার প্রচারণার ধরনটা কেমন হওয়া উচিত ছিল? আমাদের সিনেমা ঘুরে দাঁড়িয়েছে, দর্শক সিনেমার হলে যেতে শুরু করেছে কাজেই আরও সিনেমা হল প্রয়োজন, বিভিন্ন দেশে আমাদের সিনেমা প্রদর্শনের ব্যাপারে নতুন সিগন্ত দেখা দিয়েছে, কাজেই সংশ্লিষ্টদের উচিত আরও তৎপর হওয়া… এই প্রসঙ্গগুলোই তো বেশি আলোচনার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এইসব পজেটিভ চিন্তা মোটেই গুরুত্ব পাচ্ছে না। গুরুত্ব পাচ্ছে ব্যাড নিউজ ইজ গুড নিউজ এই ধারণা। সবাই ছুটছে ব্যাড নিউজের পিছনে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের দুই জনপ্রিয় চিত্র নায়িকার বাহাস পর্ব বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। একজনের নাম বিদ্যা সিনহা মিম। অন্যজনের নাম পরীমনি। একজন চিত্রনায়িককে জড়িয়ে তারা বাহাসে লিপ্ত হয়েছেন। সিনেমার এই দুঃসময়ে যা কাঙ্ক্ষিত নয়।

লেখার শুরুতে বলেছিলাম ‘নাই কাজ তো খই ভাজ’ এর কথা। মূলতঃ কাজ না থাকলেই মানুষ সাধারণত অযৌক্তিক প্রসঙ্গকে নানা কৌশলে যৌক্তিক করে তোলে। পরীমনি ও বিদ্যা সিনহা মিম দু’জনই আমাদের চলচ্চিত্রের অন্যতম ব্যস্ততম তারকা। তারা যা বলবেন, যা করবেন, যা দেখাবেন সবটাতেই দেশের সিনেমা দর্শকের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক। দেশের সিনেমা ঘুরে দাড়ানোর মুহূর্তে তারকাদের নিজেদেরও কিছু দায়-দায়িত্ব আছে। ভালো সিনেমার জন্য কথা বলা, ক্যাম্পেইন করা এগুলো হলো আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি। সেটা না করে পরীমনি নিজের স্বামীকে জড়িয়ে তার ফেসবুক পেজে স্পর্শকাতর একটি স্ট্যাটাস দিলেন। স্বামীর সঙ্গে কাকে জড়ালেন? সহকর্মী বিদ্যা সিনহা মিমকে। শুরু হলো ব্যাড নিউজের প্রকাশ্য লড়াই। অদৃশ্য চরিত্র শয়তান বিশেষ ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন। ফলে ভালো সিনেমার জন্য কেউ কোনো কথা বলছেন না। প্রায় সবাই দৌড়াচ্ছেন পরীমনি ও বিদ্যা সিনহা মিম এর বাহাসের দিকে। তারকাদের গোপন সম্পর্কের খবর এমনিতেই পাঠক, দর্শকের ব্যাপক আগ্রহের বিষয়। সেখানে জনপ্রিয় তারকা যখন নিজে গোপন সম্পর্কের ব্যাপারে সহকর্মীর ওপর দোষ চাপায় তখন তো এই খবর ‘হট কেক’ হয়ে যায়।

পরীমনির একটি স্ট্যাটাসের কারণে ভালো সিনেমার আলোচনা আড়ালে পড়ে গেছে। কি বলেছেন পরীমনি? আসুন ফ্লাশব্যাকে যাই…
তার আগে বলে নেই দামাল ও পরাণ পরপর দুটি হিট সিনেমার নায়িকা হলেন লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার খ্যাত জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। দুটি সিনেমাতেই তার সহশিল্পী ছিলেন চিত্র নায়ক রাজ। সঙ্গত কারণেই মিমের সঙ্গে রাজের একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ইমপ্রেস এর নতুন ছবি ‘দামাল’ এর প্রচার-প্রচারণায় মিম ও রাজ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। দু’জনে অন্তরঙ্গ ছবি তুলেছেন। সেই ছবি নিজেদের ফেসবুক ওয়ালে তুলেও দিয়েছেন। এই নিয়েই আপত্তি তোলেন চিত্র নায়িকা পরীমনি। ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ৩ লাইনের একটি স্ট্যাটাস দেন। প্রথম লাইনে ‘দামাল’ এর পরিচালক রায়হান রাফির উদ্দেশ্যে লেখেন, ‘রায়হান রাফি সিনেমার সঙ্গে দালালিটাও করেন দেখি’। দ্বিতীয় লাইনে মিমের উদ্দেশ্যে লেখেন- ‘মিম নিজের জামাইকে নিয়েই সন্তুষ্ট থাকা উচিত ছিল’। তৃতীয় লাইনে নিজের স্বামী চিত্রনায়ক রাজকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, ‘রাজ এটা এতদূর গড়াতে দেয়া উচিত হয়নি তোমার।’

পরীমনির এই স্ট্যাটাসের পর দেশের প্রচার মাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মীম আর রাজের মধ্যে গভীর প্রেমের গুঞ্জন তীব্র আকার ধারণ করে। অথচ মীম ও রাজ দু’জনই বিবাহিত। তাদের সংসার কি ভেঙে যাচ্ছে? সেই আশঙ্কায় কি পরীমনি উদ্বেগজনক এবং অবশ্যই স্পর্শকাতর স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন? ওই যে বললাম ব্যাড নিউজ ইজ গুড নিউজ। দুর্গন্ধ দ্রুত ছড়ায়। পরীমনির এই স্ট্যাটাসের ফলে হাওয়া, পরাণ, দামালসহ ভালো সিনেমার যেটুকু আলোচনা শুরু হয়েছিল তাও গেল থেমে। অদৃশ্য চরিত্র শয়তানের কারসাজি শুরু হয়ে গেল। পরীমনির স্ট্যাটাসের জবাব দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম। তিনি লিখলেন, পরাণ ও দামাল সিনেমার সাফল্য আমাকে স্বার্থহীন ভালোবাসায় ভাসাচ্ছে। আমি আপ্লুত, অভিভূত। বলতে পারি অভিনয় জীবনের সেরা সময় পার করছি। ঠিক এই সময়ে একটা পক্ষ আমার পথ চলায় ঈর্ষান্বিত হয়ে, আমাকে থামিয়ে দিতে, আমাকে জড়িয়ে নানা ধরনের কুৎসা রটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। পোস্টে মিম আরও উল্লেখ করেন ‘এখন যে বা যারা কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই আমাকে নিয়ে ভিত্তিহীন কথা বলছে তাদের প্রতি নিন্দা জানানোর ভাষা জানা নেই। তবে এসবের বাড়াবাড়ি হলে আমি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষী ও ভালোবাসার মানুষদের এটাও বলতে চাই, কারও কোনো ধরনের মনগড়া, মিথ্যা বানোয়াট কথায় আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না।’ মিমের স্ট্যাটের জবাবে পরীমনি আবার লিখলেন, আসেন তাহলে কিছু বিষয় ক্লিয়ার করি। এই যে মিম বললো, আমি জেলাসী করলাম তোমার সঙ্গে। এটা ১০ জন আননোন লোক বলতেই পারে। কিন্তু তুমি কি করে এটি বলো? যেখানে পরাণ রিলিজের পর সবখানে আমি বলে আসছি রাজের সঙ্গে জুটি হয়ে কাজ করো। তোমাদের জুটি দেখতে ভালো লাগে। এটি তোমরাও চাও… মীমের উদ্দেশে পরীমনি আরও লেখেন, বিশ্বাস করো ভাই মিম রাজের সঙ্গে তোর অতি মাখামাখিটা আমার সংসার আমার বাচ্চা, আমার লাইফ সবকিছুতে ঝামেলা করে দিচ্ছে। এই যে দামালের তিনমাসের হল রাইটস নিলা রাজ ও তুমি, তোমরা সবাই- এটা হলো কাল এখন আমার জীবনের। এখন তোমাদের ব্যবসায়িক ছুঁতোয় আলাপ চলে রাতদিন। বিশ্বাস করো তোমাদের এই মাঝরাতের ফোনালাপ আমার সত্যি সদস্যা করে। আমি একা সারারাত বাচ্চাটাকে সামলাই। এসব বন্ধ করো…

এসব বন্ধ করো- পরীমনির এই কথাটির প্রতি বিশেষভাবে জোর দিতে চাই। হ্যাঁ, সম্পর্কের ক্ষেত্রে যদি নোংরামি শুরু হয় তাহলে তো বন্ধ হওয়া উচিত। অনেক চড়াই উৎরাইয়ের পর আমাদের চলচ্চিত্র ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি ফিরে পেয়েছে। এই মুহূর্তে যেখানে চলচ্চিত্রের মানুষজনদের উচিত নিজেদের স্বার্থে ভালো ছবির পক্ষে ক্যাম্পেইন করা। প্রচার মাধ্যমে ভালো ছবির পক্ষে আলোচনা-সমালোচনা প্রকাশের পরিবেশ তৈরি করা। এই কাজে শীর্ষ সারির তারকা শিল্পীদেরই ভূমিকা বেশি থাকা উচিত। অথচ তারাই ঈর্ষাকাতর বাহাস পর্বে যুক্ত হয়েছেন। অভিনয় জগতে নায়ক-নায়িকার প্রেম নতুন কোনো ঘটনা নয়। যার সঙ্গে মজে মন কি-বা হারি কি-বা জন। কথাটা সবাই জানেন। কিন্তু প্রকৃত অর্থে যারা অভিনয়কে ভালোবেসে অভিনয় জগতে আসেন তারা নায়ক-নায়িকার প্রেমকে ততটা গুরুত্ব দেন না। গুরুত্ব দেন অভিনয়কে। তার জলন্ত প্রমাণ উত্তম-সূচিত্রা, রাজ্জাক-কবরী, রাজ্জাক-শাবানা, আলমগীর-শাবানা, ববিতা-জাফর ইকবাল জুটি। তারাও প্রেম করেছেন। কিন্তু ঘরের কথা পরকে ঘটা করে এভাবে জানাননি। কারণ তারা জানতেন এতে চলচ্চিত্রেরই ক্ষতি হয়। ভালো সিনেমার প্রতি আগ্রহী না হয়ে অনেক দর্শক, ভক্ত তারকাদের সম্পর্কের নোংরা আবর্জনা ঘাটতেই ব্যস্ত হয়ে ওঠে। কথায় আছে যে যাবার সে চলে যাবে। জোর করে প্রেম হয় না, সংসারও হয় না।

যারা চলচ্চিত্রের ব্যস্ত তারকা তাদের আরও সহনশীল ও বিচক্ষণ হওয়া জরুরি। এখন তো অনেক জনপ্রিয় তারকা মূলধারার প্রচার মাধ্যমকে তেমন গুরুত্ব দিতে চান না। মন খারাপ হলেই নিজের ফেসবুক ওয়ালে সঙ্গে সঙ্গে তা বলে দেন। আর তাই নিয়ে হই চই পড়ে যায়। তারকাদের বোঝা উচিত যখন যা মনে আসে তাই ফেসবুকে তুলে দেয়া ঠিক নয়। প্রশ্ন উঠতেই পারে- তারকারাতো মানুষ। তাদেরও সুখ-দুঃখ আছে। হ্যাঁ, তারকারাও মানুষ। তাদের সুখ, দুঃখ আছে। কিন্তু সেটা সহজেই পাবলিকলি করা ঠিক নয়। একটা ছোট্ট উদাহরণ দিয়ে লেখাটি শেষ করি। এই যে পরীমনি তারই সহকর্মী বিদ্যা সিনহা মীমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে অদৃশ্য চরিত্র শয়তানকে উস্‌কে দিলেন, এতে কি চলচ্চিত্রের কোনো লাভ হবে? দেশে ভালো সিনেমার একটা জোয়ার দেখা দিয়েছে। এমনই সময় সিনেমার মানুষেরাই যদি ঘরের গোপন কথা পরকে জানায় তাহলে প্রকৃত অর্থে সিনেমার কোনো উপকার হবে না। তার মানে ঘরের সংকট নিয়ে কি আমরা আলোচনা করবো না? অবশ্যই করবো। সেটা ফেসবুকে কেন? চলচ্চিত্রে আমাদের কি কোনো অভিভাবক নাই? তাদের সঙ্গেও আলোচনা করতে পারি। কথাটা সংশ্লিষ্টদের ভাবতে অনুরোধ করছি। বাংলা সিনেমার জয় হোক।

লেখক: কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, সম্পাদক আনন্দ আলো।

Archive Calendar

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031