টেলিগ্রাম রিপোর্ট : আমরা চাই ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্র হোক। ইসরাইলিরা যে কেবল ফিলিস্তিনি ভূ-খন্ড দখল করছে তাই নয়, তারা সেখানে খুনখারাপিও করছে। জাতিসংঘ ঘোষিত ‘প্যালেস্টাইনের জনগণের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস’ উপলক্ষে ইউনাইটেড ন্যাশনস এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ইউএনএবি) আয়োজিত এক সিম্পোজিয়ামে প্রধান বক্তা হিসেবে আলোচনা শেষে মানবজমিনকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির।
পশ্চিমা বিশ্বের দিকে ইঙ্গিত করে অ্যাম্বাসেডর জমির বলেন, “যারা সাধারণত এসবের বিরুদ্ধে বিভিন্নক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে; যেমন ইউক্রেনের ক্ষেত্রে বলছে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টে (আইসিসি) নিয়ে যাবে, জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে (ইউএনএইচআরসি)…কিন্তু, মানবাধিকারের সংজ্ঞাতো বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম হতে পারে না। সুতরাং, আমাদের এগুলো নিয়ে সচেতন হওয়া উচিত।”
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা, সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো.তৌহিদ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশের সবাই ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে। তবে, আমাদের জাতিসংঘের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করানোর মতো কোনো ক্ষমতা নেই। কতোজন ফিলিস্তিনি মারা গেলো সেটা বিবেচ্য নয়। প্রতিটি প্রাণই গুরুত্বপূর্ণ, সেটা ফিলিস্তিনি-ইসরাইলি যারই হোক না কেন।
ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বলেন, “আমরা সবাই মানুষ। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই মানুষ। ফিলিস্তিনের শত্রু হলো শয়তান। আমাদের শয়তানের সাথে লড়তে হচ্ছে।”
বাংলাদেশের মানুষ কেন ফিলিস্তিনকেসমর্থন করে, এই প্রশ্ন করে তার জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, “কারণ তারা জানে কষ্ট কাকে বলে।
তারা মুক্তিযুদ্ধে কষ্ট কী তা দেখেছে। বাংলাদেশের সব সরকারই ফিলিস্তিনকে সমর্থন করেন। এখানে, ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে যাওয়া মানে জনগণের বিরুদ্ধে যাওয়া।”
রাষ্ট্রদূত বলেন, “ফিলিস্তিনের জনগণ নিজেদের পৃথক একটি রাষ্ট্র চায়। এটা তাদের প্রাপ্য। স্বাধীনতা তাদের প্রাপ্র্য। কিন্তু, এ সংক্রান্ত জাতিসংঘের কোন প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে গেলে সেখানকার কোন না কোন সদস্যের ভেটো প্রদানের কারণে সেটা বাতিল হয়ে যায়।”
আপনার মতামত লিখুন :