ফ্রান্স প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশী মানবাধিকার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম এর সাথে ফ্রান্সের ফৌজদারী আইনজীবী ক্লেমেন্স উইট এর এক আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল ০৯ মে প্যারিসের সেইরো তে অবস্থিত আইনী সংস্থা ছ্যাভান এন্ড উইট অ্যাডভোকেটস এ ঘন্টাব্যাপী উক্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্যান্যদের পাশাপাশি পারিসে বসবাসরত বাংলাদেশী মানবাধিকার কর্মী মঈনুদ্দীন খান এবং আইনী সংস্থা ছ্যাভান এন্ড উইট অ্যাডভোকেটস এ কর্মরত আইনজীবী থিও বেরেবি অংশগ্রহণ করেন।
ক্লেমেন্স উইট প্যারিস বারের একজন বিখ্যাত ফৌজদারি আইনজীবী এবং আইনি সংস্থা ছ্যাভান ও উইট অ্যাডভোকেটস এর অংশীদার। অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব এবং বর্তমানে মারিয়েন ইনিশিয়েটিভ ফর হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারের বিজয়ী হিসেবে ফ্রান্সে অবস্থান করছেন। বৈঠকে অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম সাংবাদিক, আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতা ও নিপীড়নসহ বাংলাদেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশে দীর্ঘদিন যাবত ঘটে আসা জাতিগত, ধর্মীয়, সামাজিক ও যৌন
সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সহিংসতাসহ নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও জোরপূর্বক গুমের মতো মানবাধিকার লংঘনজনিত বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম পারিবারিক সহিংসতা, ধর্ষণ, যৌন সহিংসতা,
শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের অভাব, পারিবারিক পুনর্মিলন ও পূনেকত্রীকরণ, আশ্রয় প্রক্রিয়া ও ভাষাগত সমস্যা সহ ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী, শরণার্থী ও অভিবাসীদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা করেন।
তাছাড়া, অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম ফ্রান্সে জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স নামক একটি অলাভজনক মানবাধিকার সংস্থা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তার ভবিষ্যত পরিকল্পনার বিষয়ে বৈঠকে উপস্থাপন করেন। জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স এর ব্যানারে তথ্য প্রচার ও একটি শক্তিশালী রেফারেন্স ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশী শরণার্থী, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ও অভিবাসীদের জন্য ফ্রান্স সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সহায়তা ও পরিষেবাসমূহ সহজে প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে
অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম বৈঠকে সহায়তা কামনা করেন।
বৈঠকে, উভয়পক্ষ ফ্রান্সে বসবাসকারী বাংলাদেশী শরণার্থী, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ও অভিবাসীদের জন্য সহায়তা পরিষেবাসমুহ সহজে প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতে এক্ত্রে কাজ করার উপায় নিয়েও আলোচনা করেন।
জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স তথ্য প্রচারাভিযান, আইনি ও অনুবাদ পরিষেবা, হেল্পলাইন বা হটলাইন স্থাপন, স্থানীয় এনজিও ও সহায়তা সংস্থাগুলির সাথে সহযোগিতা, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা, অনলাইন তথ্য হাব তৈরি, আউটরিচ ও বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা এবং নীতি নির্ধারনী অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনা করার পরিকল্পনা করেছে বলে
বৈঠকে জানান।
ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশী শরণার্থী, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ও অভিবাসীদের জন্য সহায়তা পরিষেবাসমূহ সহজে প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করার জন্য একটি পথ খুঁজে বের করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বৈঠকটি শেষ হয়।
আপনার মতামত লিখুন :