টেলিগ্রাম রিপোর্ট : বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি যশোর ইউনিটের সহ-সভাপতির পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন। যশোর ইউনিটের সভাপতি যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুলের বরাবর এই লিখিত দরখাস্তের মাধ্যমে মিলন পদত্যাগ করেন। আজ এক লিখিত দরখাস্তে বীর মুক্তযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেছেন, তিনি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারনে পদত্যাগ করছেন। এদিকে নির্বাচনের ৪ দিনের মাথায় শহিদুল ইসলাম মিলনের এই পদত্যাগ নানা কারনে আলোচিত হচ্ছে।
গত ১ লা ডিসেম্বর ছিল বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি যশোর ইউনিটের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। এই নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদ বাদে সকল পদে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হন প্রার্থীরা। এই নির্বাচনে যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় সহ সভাপতি নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনের দুই দিন আগে নানা অনিয়ম ও ত্রæটি তুলে ধরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন যশোর জেলা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান মিঠু । কিন্তু তারপরও নির্বাচন কমিশন কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে গত ১লা ডিসেম্বর সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন সাধারণ সম্পাদক পদে পুন: নির্বাচিত হন। গতকাল ছিল নির্বাচন পরবর্তী রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি যশোর ইউনিটের ইজিএম। এই ইজিএম এ নির্বাচনে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে যেন তেন ভাবে একটা মন বোঝানো ইলেকশন করায় উপস্থিত সদস্যরা নির্বাচন কমিশনারসহ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদককে নানা প্রশ্ন বানে জর্জরিত করেন। এক পর্যায়ে ওই সাজানো নির্বাচন বাতিল করার দাবি উঠলে অনেকেই তাতে সমর্থন দেন। এদিকে নির্বাচনে অনয়িমের অভিযোগ ওঠায় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে এসব অভিযোগ তদন্তের জন্য যশোর ইউনিটের ফাইল তলব করা হয়। একই সাথে অভিযোগকারী আসাদুজ্জামান মিঠুকে সকল অনিয়মের প্রমানপত্র দাখিল করতে বলা হয়। অনেকই ধারনা করছেন এসব কারনে বিতর্ক এড়াতে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যশোর ইউনিটের সহ সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করলেন। এদিকে শহিদুল ইসলাম মিলনের পদত্যাগের ঘটনায় সোস্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। অনেকেই অনেক কথা বলছেন।
আপনার মতামত লিখুন :