সার সঙ্কট এবং অফিসের সঠিক পরামর্শ না পাওয়ায় ধানে চিটা হয়েছে বলে অভিযাগ করেছেন আমন কৃষকরা। আমন ধানে চিটা হওয়ায় উৎপাদন খরচ নিয়েও শংকায় তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ব্রি-৪৯, ব্রি-৮৭, ব্রি-৭৫, বিনা-১৭, হাবু, গুটি স্বর্ণা, হাইব্রিড ধানী গাল্ড ও ব্রি-৫১ জাতের ধান চাষ হয়েছে।
স্থামীয় কৃষকরা বলেছেন, চাষের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি না থাকা ও সারের দাম বৃদ্ধিতে এমন ক্ষতি হয়েছে।
শেখেরবাতান গ্রামের কৃষক আমজাদ আলী জানান, জমি তৈরি থেকে শুরু করে ধান কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত যা খরচ হয়েছে তার অর্ধক টাকার ধান বিক্রি হয় কি না সন্দেহ। ৩ বিঘা (৫২শতাংশ = ১বিঘা) জমিতে চাষ করেছি। সার, পানি, শ্রমিকের মুজুরিসহ ১৬ থক ১৭ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। এক বিঘায় ১৫-১৬ মন ধান হয়েছে। মাড়াই শেষে হিসাব করে দেখা গেছে বিঘাপ্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার ক্ষতি হচ্ছে।
রামনগর গ্রামের কৃষক ইউনুচ আলী বলেন, ১২০ শতক জমিতে ব্রি-৪৯ জাতের ধান লাগিয়েছিলাম। ধান মাড়াই করে ৫২ মণ ধান হয়েছে । ধানে অতিরিক্ত চিটা হওয়ায় ফলন কমে গেছে। গত আমন মৌসুমে একই পরিমান জমিতে ৭৫ মণ ধান হয়েছিল।
পাইকপাড়া গ্রামের কৃষক আখতারুজ্জাামান জানান, এক বিঘা জমিত হাবু জাতের ধান লাগিয়েছিলাম। এতে ফলন হয়েছে ২০ মণ ২০ কেজি। আবাদে খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকার মত। ধানে চিটা বেশি হওয়ায় লাভ তো দূরে থাক, খরচার টাকাও উঠছে না। তিনি আরও বলেন, আমন মৌসুমে উপজেলার কোন কৃষি কর্মকর্তাকে মাঠে পাইনি। তাদের কোন উপদেশ বা পরামর্শ কোনটাই পাইনি। এ ছাড়াও রাসায়নিক সারের ঘাটতি ছিল। বেশি দামেও সার পাচ্ছিলাম না। আবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে সেচ মালিকরাও সে সময় সেচ দিতে রাজি হয়নি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমীন মুঠোফোনে জানিয়েছেন, এবার আমনের ফলন ভাল। ধানে চিটা হয়েছে এমন কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তিনি এ সময় আরও বলেন, অফিসে আসেন, কথা হবে বলেই ফোনর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
আপনার মতামত লিখুন :