জানা যায়, উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের রাধানগর বাওড়ের চারপাশে বসবাসরত জনসাধারন নিজস্ব সম্পত্তির সাথে বাওড়ের কিছু অংশ নিয়ে দীঘদিন ধরে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করে আসছেন। আবার অনেকে ফলদ ও বনজ গাছ বা কেউ কেউ শাক-সবজি চাষ করেও জীবীকা নির্বাহ করে থাকেন।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে জয়রামপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে রিপন শেখ, লতিফ শেখের ছেলে মামুন শেখ, হামিদ শেখের ছেলে কালাম শেখ, শফিউদ্দিন শেখের ৩ ছেলে ভুট্টো, বদর ও আক্কাস শেখ, আজিত শেখের ছেলে আরিফ শেখ, লতিফ শেখের ২ ছেলে সাইফুল শেখ ও সাগর শেখ সংঘবদ্ধ হয়ে বিবাদীগণের পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে যায়। এরপরেরদিন দুপুরে আরও কিছু অপরিচিত ব্যাক্তিদের সাথে নিয়ে শেখ পরিবারের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র রামদা, দা, কুড়াল ইত্যাদি হাতে নিয়ে বিবাদীগণের পুকুর পাড়ে হামলা চালায়। এসময় পাড়ে লাগানো কাঠাল, মেহগনি, নারিকেল ও কলাগাছ কেটে দেয় । এছাড়াও শাক-সবজির ক্ষেত নষ্ট ও ৩ থেকে ৪শত কচুগাছের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। হামলাকারীদের এসব কাজ করতে নিষেধ করলে ২৩টি পরিবারের সবাইকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী দেন। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থ সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের ভারতে চলে যেতে বলে অন্যথায় প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে বাওড়পাড়ের খয়রুদ্দিন, রামকৃষ্ণ দাস, মতিয়ার, মৃদুল নন্দী, জাহাঙ্গীর, বদিউজ্জামানসহ ২৩ ভূক্তভোগী পরিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাঘারপাড়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কার্যালয়েও এর অনুলিপি দেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।
বিক্ষোভ সমাবেশকালে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পূজা পরিষদের আহ্বায়ক নিখিল কুমার আঢ্য, যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুভাষ দেবনাথ অভিরাম, সদস্য সচিব প্রণয় সরকার, শচিন্দ্র নাথ বিশ্বাস, ডাক্তার গনেশ মজুমদার, সুকুমার দে, শমিরন শর্মা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, দেব কুমার, সিদ্ধিশ্বর ঘোষ, সন্তোষ কুমার, সবুজ দেবনাথ, সুভাষ রায়, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষে রামকৃষ্ণ, হুমায়ুন কবির, মোহাম্মদ খয়রুদ্দিন, বধু মোল্লা, ভিম দাস, সৈকত বিশ্বাস প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :