বিএনপি সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করায় সংসদ সচিবালয় ঘোষিত শূন্য ছয়টি আসনে উপ-নির্বাচনের সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) হতে পারে। ওইদিন নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করবে।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আসন শূন্য ঘোষণার গেজেট নির্বাচন কমিশন সচিবালয় পেয়েছে। পরবর্তী প্রসিডিউর হচ্ছে আমরা বৈঠকে বসবো। বৈঠকে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো, যে কবে নির্বাচন হবে, তার সিডিউল কবে ঘোষণা করা হবে।
মো. আলমগীর বলেন, ভোটের জন্য সময় আছে সর্বোচ্চ ৯০ দিন। তফসিল আমরা খুব তাড়াতাড়িই দেবো ইনশাআল্লাহ। যেহেতু ৯০ দিনের মধ্যেই করতে হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং আরেকজন নির্বাচন কমিশনার ঢাকার বাইরে আছেন। আগামীকাল থাকবেন। পরশুদিন হয়তো আসবেন। এরপর বৃহস্পতিবার অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে হয়তো আমরা বসব। ন্যূনতম সময় যেটা দিতে হয় সেটি দিয়ে আমরা হয়তো দিয়ে (তফসিল) দেব। আমরা ৯০ দিন অপেক্ষা করব না। যেহেতু পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন এক বছরের একটু বেশি সময় আছে। ওই হিসেবে ৯০ দিনের আগেই দিয়ে (নির্বাচন) দেব।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে হয়তো সিদ্ধান্ত হতে পারে বা নথির মাধ্যমে ফাইল পুটআপ করে হতে (তফসিল) পারে। তাহলে আর পরবর্তী বৈঠকের প্রয়োজন হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না। আমাদের হলো রেফারির কাজ। আমরা মাঠ প্রস্তুত রাখবো, গ্যালারি প্রস্তুত রাখবো। সবকিছু প্রস্তুত রাখবো প্লেয়াররা খেলতে আসবেন।
তিনি আরও বলেন, মাঠে আসার আগ পর্যন্ত দায়িত্ব কিন্তু যারা এটির আয়োজন করে তাদের। সরকার এবং রাজনীতিবিদদের। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনো ভূমিকা নেই। আমরা মাঠ তৈরি করবো, গ্যালারি তৈরি করবো।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, খেলোয়াড়রা তো অবশ্যই আসবেন। সব খেলোয়াড়রা নাও আসতে পারেন। যাদের প্রস্তুতি থাকবে না তারা তো নাও আসতে পারেন। ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে। সবগুলো দলই যে নির্বাচন করবে সেটি তো আর বলা যায় না। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বা সক্রিয় রাজনৈতিক দল যারা আছে, তারা আসলেই বলবো যে একটু সুন্দর নির্বাচন হয়েছে।
সংসদ সচিবালয় ঘোষিত শূন্য আসনগুলো হলো- বগুড়া-৪ ও ৬, ঠাকুরগাঁও-৩, চাঁপাইনাঁবগঞ্জ-২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও মহিলা আসন-৫০।
গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলপবাগ মাঠে আয়োজিত সমাবেশ থেকে বিএনপির সাত এমপি পদত্যাগপত্র ই-মেইল যোগে স্পিকারের কাছে পাঠিয়েছেন বলে জানানো হয়। তারা হলেন- আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২), হারুনর রশীদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), জাহিদুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩), মোশাররফ হোসেন (বগুড়া-৪), জি এম সিরাজ (বগুড়া-৭), আব্দুস সাত্তার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২) ও রুমিন ফারহানা (সংরক্ষিত নারী আসন-৫০)।
এরপর রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে শূন্য ঘোষিত ওই ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটির সদস্য শরীরে স্পিকারের কাছে তাদের পদত্যাগপত্রগুলো জমা দেন। তবে একজন ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বিধায় তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :