বিতর্কিত প্রশ্নকান্ড – যশোর বোর্ডের পাঁচ শিক্ষক দোষী সাব্যস্ত : বাতিল হতে পারে এমপিও
টেলিগ্রাম রিপোর্ট
প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৮, ২০২২, ৯:২২ অপরাহ্ণ /
২৭২২০ ০
টেলিগ্রাম রিপোর্ট : এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সা¤প্রদায়িক প্রশ্ন রাখার ঘটনায় পাঁচ শিক্ষককে দোষীসাব্যস্ত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে (মাউশি) জমা দিয়েছে যশোর শিক্ষা বোর্ডের গঠিত তদন্ত কমিটি।
অপরাধের ধরন অনুযায়ী ওই শিক্ষকদের শাস্তির সুপারিশও করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটির এক সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানতে চাইলে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহসান হাবীব বলেন, বোর্ডের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
দোষী শিক্ষকদের কী ধরনের শাস্তি হতে পারে? এমন প্রশ্নে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এমপিও বাতিল হতে পারে। এর পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের লঘু ও গুরু যে কোনো শাস্তি হতে পারে।
গত ৬ নভেম্বর সারাদেশে এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন ঢাকা বোর্ডের ‘কাসালাং’ সেটের নাটক সিরাজ-উদ-দৌলা অংশের ১১নং প্রশ্নে সা¤প্রদায়িক বিদ্বেষের বিষয়টি উঠে আসে। ৮ নভেম্বর এ ঘটনায় জড়িত থাকায় পাঁচ শিক্ষককে চিহ্নিত করে তাদের নাম প্রকাশ করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
তাতে দেখা যায়, বাংলা প্রথম পত্রের বিতর্কিত প্রশ্নটি করেছেন ঝিনাইদহের মহেশপুরের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল। প্রশ্নপত্র মডারেশনের দায়িত্বে ছিলেন নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শফিকুর রহমান, মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক অধ্যাপক রেজাউল করিম।
আপনার মতামত লিখুন :