কাতার ফুটবল বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচে আগামী শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে হট ফেভারিট ব্রাজিল। একই দিন মাঠে নামবে আরেক দর্শকপ্রিয় দল আর্জেন্টিনাও। রাত ১টায় অনুষ্ঠিতব্য ওই ম্যাচে লিওনেল মেসিদের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। কিন্তু তার আগেই দর্শকদের কিছুটা দুঃসংবাদ শোনালো কাতারের আবহাওয়া অধিদপ্তর (কিউএমডি)। হাইভোল্টেজ ম্যাচ দুটির দিন কাতারে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
কিউএমডির সবশেষ আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বুধবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে আগামী শনিবার (১০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত কাতারে বৃষ্টিময় দিন থাকতে পারে। এই সময়ে দেশটিতে মাঝে মাঝে বিভিন্ন তীব্রতার বৃষ্টিপাত হতে পারে। এমনকি কখনো কখনো তা বজ্রবৃষ্টিতেও রূপ নিতে পারে।
অর্থাৎ, শুধু ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার খেলার দিনই নয়, মরক্কো-পর্তুগাল এবং ইংল্যান্ড-ফ্রান্সের মধ্যেকার কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচের দিনও বৃষ্টি-বাদলের মুখে পড়তে পারে কাতার।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, কাতারে ৭ থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বাতাস দক্ষিণ-পূর্ব থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে ১১ থেকে ২৯ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হবে এবং কখনো কখনো দমকা বাতাসের বেগ ৪৬ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
কাতারের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ১০ ডিসেম্বর বাতাস উত্তর-পশ্চিম দিকে চলে যাওয়ার কারণে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন আবহাওয়া সপ্তাহের মাঝামাঝি পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি কমতে পারে রাত ও ভোরের দিকে। সেসময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৯ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৫ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। তবে কাতারের দক্ষিণের এলাকাগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অবশ্য ঝড়-বৃষ্টি হলেও কাতারের স্টেডিয়ামগুলোতে অত্যাধুনিক ব্যবস্থার কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার তেমন কোনো আশঙ্কা নেই। তবে স্টেডিয়ামের বাইরে থাকা দর্শকরা অবশ্যই কিছুটা বিপাকে পড়বেন।
প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে কাতারে বসেছে বিশ্বকাপ ফুটবলের ২২তম আসর। ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা জানিয়েছে, এবার গ্রুপ পর্বের ৪৮টি ম্যাচ স্টেডিয়ামে বসে উপভোগ করেছেন ২৪ লাখের বেশি দর্শক। এটি ২০১৮ সালে রাশিয়ায় আয়োজিত গ্রুপ পর্বের খেলা উপভোগ করা দর্শক সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি।
তবে সবেচেয়ে বেশি দর্শক উপস্থিতি ঘটেছে দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে। আর্জেন্টিনা-মেক্সিকোর ম্যাচের দিন স্টেডিয়ামটিতে দর্শক সংখ্যা ছিল অন্তত ৮৮ হাজার ৯৯৬ জন।
এছাড়া দোহার ফ্যান ফেস্টিভ্যালে দর্শক ছিল ১০ লাখের বেশি। ফ্যান ফেস্টিভ্যাল এমন একটি স্পট যেখানে ভক্তরা টুর্নামেন্ট চলাকালীন খেলা সরাসরি উপভোগ করা যায়। ২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপের সময় এটি প্রথম চালু হয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :