রায়হান হোসেন, চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ ‘বাতাসে বহিছে প্রেম, নয়নে লাগিল নেশা, কারা যে ডাকিল পিছে, বসন্ত এসে গেছে’—সুরের এমন অবগাহনে প্রকৃতিতে আগমন ঘটেছে ঋতুরাজ বসন্তের। ক্যালেন্ডারের পাতায় আজ যেমন ফাল্গুনের ১ তারিখ, তেমনি আবার বিশ্ব ভালোবাসা দিবসও। সবমিলিয়ে প্রাণে প্রাণ মেলানোর উৎসব আজ।
আজ পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। দিনটিকে রাঙাতে যশোরের চৌগাছা উপজেলায় ফুলের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভীড় জমিয়েছে ক্রেতারা। ১৪ ফেব্রুয়ারী (মঙ্গলবার) এই দিনটি উপলক্ষে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ফুলের দোকানে সাজানো হয়েছে বাহারি রঙ্গের ফুল।
এ দিনে চৌগাছাতে ঘুরে ঘুরে দেখা যায়, প্রতি মার্কেটের সামনে ভ্রাম্যমান ফুলের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা। উপজেলায় প্রায় ১০-১২টি ফুলের দোকানে দুই লক্ষাধিক টাকার মতো ফুল বিক্রয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন দোকানিরা।
ফুল বিক্রেতা মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য মোড় সংলগ্ন প্রিয়া প্রসাধনী’র স্বত্তাধিকারী সরোয়ার হোসেন জানান, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সব ধরনের ফুলের পসরা সাজানো হয়েছে দোকানে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বেচা-কেনার ধুম। এ দিবস উপলক্ষে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার মতো ফুল ক্রয় করি এবং তার প্রায় সব ফুল বিক্রি হয়ে গেছে।
শহরের কালিতলা মোড় সংলগ্ন রবিউল ষ্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী রবিউল ইসলাম জানান, বিগত সময় করোনার কারনে ক্রেতাদের সমাগম হয়নি, বেচাকেনাও হয়নি। তবে এবার ক্রেতাদের অনেক ভীড় বেড়েছে। তিনি জানান, দিবসটি উপলক্ষে সব ধরনের ফুল সংগ্রহ করেছি। যেমন বিভিন্ন রঙ্গের গোলাপ, মল্লিকা, ব্লাডিয়া, সূর্যমূখী ও বিভিন্ন রঙ্গের রজনিগন্ধার স্টিক দিয়ে পসরা সাজানো হয়েছে।
উল্লেখ্য বছরের অন্য সময়ের তুলনায় বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে ফুলের কেনা বেচা বেশ জমে উঠে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তাই ফুলের দোকান বা নার্সারীতে ভীড় বাড়ছে তরুন-তরুনীদের। ফুল কিনতে পেরে খুশি তারা।
ফুল কেনার সময় শহরের ওয়ান ব্যাংক সংলগ্ন হাবিব ক্যাফে এন্ড রেস্টুরেন্ট এর স্বত্তাধিকারী ইয়াছিন রহমান শান্ত জানান, বিশেষ দিনে প্রিয়জন কে ফুল দিতে ফুলের দোকানে এসেছি, ফুল কিনেছি। আমার মত অনেকেই এসেছেন ফুল কিনতে। তিনি বলেন, ফুল হলো ভালোবাসার প্রতীক। আমার কাছে অনেক বড় উপহার হলো ফুল। তাই প্রিয় মানুষকে ফুল উপহার দিতেই ফুলের দোকানে আসা।
পহেলা বসন্ত প্রতিবছর খ্রিষ্টীয় বর্ষপঞ্জির ১৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে পালন করা হতো। কিন্তু ১৪২৬ বঙ্গাব্দ থেকে বাংলা ফাল্গুন মাসের প্রথম সেই দিনটি চলে আসে ১৪ ফেব্রুয়ারিতে।
অন্যদিকে প্রতি বছর ৭ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পালন করা হয় প্রেমের সপ্তাহ। তার মধ্যে সবচেয়ে বিশেষ দিনটি হলো ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইন্স ডে। বছরের এ বিশেষ দিনে প্রিয়জনকে চমকে দেয়ার জোয়ারে গা ভাসান অনেকেই। নিজেকে সাজাতে ফুল ও পোশাকের দোকানে থাকে উৎসবপ্রেমীদের ভিড়।
আপনার মতামত লিখুন :