ভালোবাসা দিবস,বসন্তবরণ ও সরস্বতী পুজা ঘিরে জমে উঠেছে গদখালীর ফুলের বাজার
টেলিগ্রাম রিপোর্ট
প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪, ৪:৩২ অপরাহ্ণ /
২৭২২০
রেজোয়ান কবির (ঝিকরগাছা)যশোর:বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, ঋতুরাজ বসন্ত ও সরস্বতী পুজা উপলক্ষে জমে উঠেছে ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা গদখালী ফুলের বাজার। ফুল বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে খুশি ফুল চাষিরা।
ঋতুরাজ বসন্তের আগমনী দিন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস একইদিনে ও সাথে রয়েছে সরস্বতীপূজার আমেজ।উৎসব ঘিরে ফুলের বাজারে বইছে যেন চাষি ক্রেতা বিক্রেতার মিলন মেলা।
মহামারী করোনা, ঘূর্ণিঝড় আম্পান এবং অসময়ের বৃষ্টি বৈরী আবহাওয়ার ক্ষতি কাটিয়ে এ বছর লাভের আশা করছেন ফুলচাষিরা।বিগত এক দশকের মধ্যে এ বছর সর্বোচ্চ ফুল বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
গত সাত দিনে বাজারটিতে প্রায় ২৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। চাহিদা বেশি থাকায় আগের বাজারদর থেকে কিছুটা বেশি দামে ফুল বিক্রি করছেন চাষিরা।
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা গেছে, গদখালীর ফুলবাজারে বসন্তবরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গোলাপ।গতকাল এ বাজারে ২৩৫ গোলাপচাষি ফুল বিক্রি করতে আসেন।প্রতি ১০০ গোলাপের বান্ডিল বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২৫০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা দরে। অথচ গত বছর প্রতি বান্ডিল বিক্রি হয় ৪০০-৫০০ টাকায়। এবার চায়না গোলাপ বিক্রি হয়েছে ২২০০-৩০০০ হাজার টাকায়। প্রতিটি রজনীগন্ধা বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৮ থেকে ১৫ টাকায়, যা আগে ছিল ৭-৮ টাকা। রঙিন গ্লাডিউলাস প্রতিটি মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৮ থেকে ২০ টাকায়, যা আগে ছিল ৪-৬ টাকা। জারবেরা বিক্রি হয়েছে ১২ থেকে ২০ টাকায়, যা আগে দাম ছিল ৬ থেকে ৮ টাকায়। ফুল বাঁধাইয়ের জন্য কামিনীর পাতা বিক্রি হয়েছে প্রতি আঁটি ১০০ টাকা, যা আগে ছিল ৫০-৬০ টাকা। তবে গাঁদা ফুলের দাম তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, করোনাভাইরাসের দুই বছরের লকডাউন, আম্পান ঘূর্ণিঝড় ও অসময়ে বৃষ্টিতে ফুলচাষিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তারপর গত মৌসুমে বসন্তবরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ক্ষতি কিছুটা পোষালেও রমজানে বাংলা নববর্ষ পড়ায় সে সময়ে ফুলের বাড়তি চাহিদা ছিল না। চলতি মৌসুমে গত সাত দিনে গদখালীতে প্রায় ২৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। আশা করি ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আরও ১০-১৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে গদখালী বাজারে।
উপজেলার পানিসারা গ্রামের ফুলচাষি সকাল মাহমুদ বলেন, চলতি মৌসুমে এক বিঘা জমির গোলাপ ফুল বিক্রি করেছি দুই লাখ থেকে দুই লক্ষ বিষ হাজার টাকা। এ বছরই সবচেয়ে বেশি দামে গোলাপ ফুল বিক্রি করতে পেরেছি।
আপনার মতামত লিখুন :