মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। তারা বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তির প্রেরণা। শোষণ-নির্যাতন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে কীভাবে লড়তে হয় তা তিনি শিখিয়েছেন। কী করে অধিকার ছিনিয়ে আনতে তাও তিনি শিখিয়েছেন। আজ তার মতো একজন মহান নেতার অবদান সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মকে আমাদের শিখিয়ে যেতে হবে।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) ১৭ নভেম্বর মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, উপমহাদেশ তথা বাংলার কৃষক-শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আজীবন খেটে খাওয়া মানুষের নয়নমণি ছিলেন ভাসানী। সারাজীবন যার সংগ্রাম ছিল মেহনতি মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে।
তারা আরও বলেন, অনেক নেতাদের নেতা মওলানা ভাসানী তথাকথিত প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন না, তিনি উচ্চতর ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন। আধ্যাত্মিক শিক্ষায় তার অন্তর ছির পরিপূর্ণ। ভারতের ইসলামী শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র দেওবন্দ মাদরাসার ছাত্র হয়েও তিনি ছিলেন মুক্তিকামী মানুষের নেতা।
তারা বলেন, সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদমুক্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় মওলানা ভাসানী এমন একটি নাম যা আগামী প্রজন্মকে আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসনবিরোধী লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত করবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র রক্ষায় মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক দর্শন দেশপ্রেমের শক্তিকে অনুপ্রেরণা যোগায়।
তারা বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আদর্শ সংকট চলছে। যে কারণে রাজনৈতিক ময়দানে এক ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। জাতি অভিভাবক শূন্যতা বোধ করছে।
জানা গেছে, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মরহুমের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবে। একই সঙ্গে দলের ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে রাজধানীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আপনার মতামত লিখুন :