আবু বক্কার সিদ্দীক, মণিরামপুর থেকে : শুক্রবার রাতে মণিরামপুরের কোদলাপাড়া গ্রামের মশিয়ার রহমানের বাড়িতে দুর্ধষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ১০/১২ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল বাড়ির লোকদের জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার সহ বিভিন্ন মালামাল নিয়েছে। এ ঘটনার পর এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। গত এক মাসের ব্যবধানে এলাকায় দু’টি ডাকাতির ঘটনায় ভাবিয়ে তুলেছে সাধারণ মানুষকে।
এলাকাবাসীসূত্রে জানাগেছে, শুক্রবার গভীর রাতে ১০/১২ জনের একদল ডাকাত কোদলাপাড়া গ্রামের মেঘনা বেকারীর মালিক মশিয়ার রহমানের বাড়িতে হানা দেয়। ডাকাত দল বাড়ির প্রাচীর টপকিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরের দরজা ভেঙ্গে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এক পর্যায় ডাকাতদল তার বাড়ি থেকে নগদ ৪ লক্ষ টাকা এবং ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে নিরাপদে সটকে পড়ে। এলাকাবাসি সূত্র জানায়, প্রায় ৪০ মিনিট ডাকাত দল বাড়ির লোকদের জিম্মি করে অবস্থান করে সেখানে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গতকাল শনিবার সকালে ওসি মণিরামপুর শেখ মনিরুজ্জামান সরেজমিন তদন্ত করতে কোদলাপাড়ার মশিয়ার রহমানের বাড়িতে যান। ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির মালিক মশিয়ার রহমান সাংবাদিকদের জানান, রাত ২টার দিকে ১০/১২ জনের ডাকাতদল প্রাচীর টপকিয়ে বাড়ির মধ্যে ঢোকে। এরপর দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করেই আমাকেসহ অন্যান্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে কথা বলতে মুঠোফোনে সহকারি পুলিশ সুপার আশেক সুজা মামুনকে ডাকাতির বিষয় জানতে চাইলে তিনি ওসির সাথে যোগাযোগ করার কথা বলেন। এরপর ওসি শেখ মনিরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করতে ফোন করলে তা রিসিভ করেন উপ-পরিদর্শক সৌমেন বিশ্বাস। ফোনটি রিসিভ করে উপ-পরিদর্শক সৌমেন জানান, স্যার মিটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। এখন কথা বলবেননা। এক পর্যায় ডাকাতির বিষয়টি জানতে চাইলে সৌমেন ফোনটি কেটে দেন। উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর একই এলাকার ভান্ডারি মোড়ে কাসেম আলীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটটে। এক মাসের ব্যবধানে একই এলাকায় দু’টি ডাকাতি সংঘটিত হওয়ায় আতংকিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ জনগণ।
আপনার মতামত লিখুন :