টেলিগ্রাম রিপোর্ট : মনিরামপুরের চালুুয়াহাটি গ্রামে চুলার আগুনে দুটি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফলে নগদ টাকাসহ প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হলেও দুটি কোরান শরীফ রয়েছে অক্ষত। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার চালুয়াহাটী ইউনিয়নের চালুয়াহাটী গ্রামের আরিফ মোড়লের বড় ছেলে ও নেংগুড়াহাট বাজারের বিশিষ্ট মুদি ব্যবসায়ী মানবধীকার কর্মি আজিজুর রহমানের স্ত্রী আলেয়া বেগম ২১ নভেম্বর সোমবার দুপুরে রান্না ঘরে রান্না করতে যায়। হঠাৎ চুলার আগুনের ফুলকিতে পাশে থাকা পাটকাটি ধরে যায়। বহু চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে পারেনি আলেয়া। তার আত্নচিৎকারে পাশের লোকজন ছুটে আসার আগেই আগুন চারিদিক ছড়িয়ে পড়ে। মুহুত্বের মধ্যে আজিজুরের বসত ঘর ও তার জরপি খার বসতঘরে আগুন লেগে যায়। আগুন নেভানোর জন্য এলাকার লোকজন জোর চেষ্টা চালাতে থাকে কিন্তু কোন লাভ হয়নি। মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে আগেই দুটি বাড়ি পুড়ে ছায় হয়ে যায়।
এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থ আজিজুর রহমান জানায়, আমাদের পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছুই নেই। সবিই আগুনে পুড়ে গেছে। আগুনে পুড়া যাওয়া নগদ ১২ হাজারের কিছু বেশি টাকা, ২জোড়া স্বর্নের চেইন যার মুল্য ৩০ হাজার টাকা,,কানের দুল ৩ জোড়া ৬০ হাজার টাকা,২জোড়া বালা যার মুল্য ৫০ হাজার টাকা, ৯টি আংকটি যার মুল্য প্রাই এক লক্ষ টাকা,, ৫টা বিদেশি বড় কম্বোল, ৩০পিচ শাড়ি যার মুল্য ৪০হাজার টাকা, ক্যাথা ৩০পিচ, চাউল ৫থেকে ৭মন, পল্টি ফিড ২ বস্তা, ২বস্তা কুড়ো, খোল ২ বস্তা, ৪০জোড়া কবুতারের বাচ্ছাসহ প্রায় ৬/৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এক কথায় আমাদের পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই নেই।
মেম্বার আতিয়ার রহমান বলেন, আগুনে সব পুড়ে ছায় হয়ে গেছে। তাদের মাথা গোজার ঠাই পর্যন্ত নেই। তিনি আরো বলেন, ঘরে দুটি কোরান শরীফ ছিলো। আগুনে যার একটা অক্ষর পর্যন্ত ছুইনি। স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর অনেক চেষ্টা করেও পারেনি।
আপনার মতামত লিখুন :