টেলিগ্রাম রিপোর্ট : চার দিনের সফরে শনিবার বাংলাদেশে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভ্যালস নয়েস। আজ দিনের শুরুতে তিনি কক্সবাজারস্থ রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে যাবেন। আগামীকাল পর্যন্ত তিনি (দু’দিন) কক্সবাজারে কাটাবেন বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। স্টেট ডিপার্টমেন্টের ঘোষণা মতে, শনিবার থেকে বাংলাদেশ সফর শুরু করেছেন মার্কিন এই সহকারী মন্ত্রী। মিয়ানমারে মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়টি বিবেচনা করে রোহিঙ্গা ও অন্য শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে উদারতার পরিচয় দেয়ায় ফ্যালস নয়েস বাংলাদেশ সফরকালে এখানকার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে ধন্যবাদ জানাবেন। স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এদেশে আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ও জনবহুল দেশটির স্থানীয় জনগণকে সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার তুলে ধরতে তিনি বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সহযোগী সংগঠনগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গেও দেখা করবেন ৭ই ডিসেম্বর মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন।
জুলিয়েটা ভ্যালস নয়েস ২০২২ সালের ৩১শে মার্চ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি ফরেন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের ডেপুটি ডিরেক্টর ও অ্যাক্টিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উল্লেখ্য, বিভিন্ন কাজে দক্ষ অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গাকে স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসনের প্রস্তাব দিয়েছে ওয়াশিংটন। বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ওই নাগরিকরা বর্তমানে কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে বাংলাদেশের মানবিক আশ্রয়ে রয়েছেন। সুনির্দিষ্টভাবে নাম-পরিচয়ের বিস্তারিত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসনে সম্মত অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গার একটি তালিকাও সম্প্রতি ঢাকাকে শেয়ার করা হয়েছে।
বাস্তুচ্যুতির ৫ বছরেও রাখাইনে প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দুনিয়া কিছু রোহিঙ্গাকে স্থায়ীভাবে তাদের দেশে পুনর্বাসনের চিন্তা করছে। এ নিয়ে আমেরিকা, কানাডা এবং ইউরোপে অনেক দেশের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব এবং তালিকা রয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার এখনো তৃতীয় দেশে রোহিঙ্গাদের পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়নি। বাংলাদেশ সফরে আসা মার্কিন সহকারী মন্ত্রী জুলিয়েটা ভ্যালস নয়েসের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তার সফরে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতি, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট নানামুখী সংকট বিশেষত: বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের কোর ইস্যুগুলো ছাড়াও রোহিঙ্গা সংকটের রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে কথা হবে বলে আভাস দিয়েছে সেগুনবাগিচা।
আপনার মতামত লিখুন :