টেলিগ্রাম রিপোর্ট : যশোরের মনিরামপুরে কাভার্ডভ্যানের চাপায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। আজ (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে আটটায় মনিরামপুর উপজেলার বেগারীতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে পিতা-পুত্রও রয়েছেন। এসময় আরও কয়েকজন আহত হন।
নিহতরা হলেন মণিরামপুর উপজেলার টুনিয়াঘরা গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৫৫), তার ছেলে তাওসী (৭), জয়পুর গ্রামের আব্দুল মমিনের ছেলে জিয়ারুল (৩৫), টুনিয়াঘরা গ্রামের বাবুর আলীর ছেলে তৌহিদুর রহমান (৩৫) এবং মফিজ মীরের ছেলে মীর সামসুল (৫০)।
প্রত্যক্ষদশীরা জানিয়েছে, মণিরামপুরগামী দ্রুতগতির কাভার্ডভ্যনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি হোটেলে ঢুকে পড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পরপরই যশোর-মনিরামপুর সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এসময় যশোর মণিরামপুর সড়ক অবরোধ করে বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করে। খবর পেয়ে মণিরামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। প্রায় ৩ ঘন্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসলে এই রুটে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
যশোর পুলিশের মুখপত্র জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রুপন কুমার সরকার জানান, সকালে মণিরামপুরগামী একটি কাভার্ডভ্যান যার (রেজিঃ ঢাকা মেট্রো-ন-২০-১৭৫১) দ্রুত গতিতে জনৈক তালেবের খাবার হোটেলের ভেতরে ঢুকে যায়। এসময় হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই কাভার্ড ভ্যানের চালাক পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে মণিরামপুর সড়কের বেগারীতলা বাজারে রাস্তার পশ্চিম পাশের্^র একটি হোটেলে নাস্তা করছিল তিনজন। আর দুই জন হোটেলের সামনে দাড়িয়ে ছিল। দ্রুত গতির মাল বোঝাই কাভার্ডভ্যানটি বিপরীতমুখি একটি ট্রাককে সাইট দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে হোটেলে মধ্যে ঢুকে পড়লে ঘটনাস্থলে ৫ জন নিহত হন।
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, কাভার্ডভ্যানটি বেশ কয়েকটি দোকানে আঘাত করে। এতে ৫ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে বেলঅ ১২টার দিকে লাশ গুলোর ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এই হতাহতের ঘটনায় বর্তমানে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আপনার মতামত লিখুন :