যশোরে সাহিত্যপ্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে বইমেলা প্রাঙ্গণ। বিভিন্ন শিশু-কিশোর-বৃদ্ধ সবাই বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় জমাচ্ছেন সেখানে। মেলায় চলছে বইয়ের বেচাকেনা ও কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে ভাবের আদানপ্রদান। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ‘দরবারে মির্জা গালিব’। যেখানে চলছে উন্মুক্ত কবিতা পাঠের আসর।
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র যশোর শাখা, জেলা প্রশাসন ও যশোর ইনস্টিটিউটের আয়োজনে এ বইমেলা শুরু হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। চলবে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেখানে রয়েছে অর্ধশতাধিক স্টল। বইমেলা ঘুরে দেখা গেছে, সব স্টলেই কমবেশি সাহিত্যপ্রেমীরা আসছেন। মেলায় দেখা যাচ্ছে যশোরের কবি, গল্পকার, শিশুসাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিকদের। আসছেন ক্রেতা-পাঠকও। চলছে বই বিক্রি। সাহিত্যের বিশেষ ব্যক্তিদের কাছে পেয়ে অনেকে ব্যস্ত সেলফিতে। পছন্দের বইটি হাতে নিয়ে তুলছেন ছবি। বইমেলার মূলমঞ্চে চলছে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক পর্ব। রাত প্রায় ৮টা পর্যন্ত চলে এই অনুষ্ঠান।
কবি কবীর শাহজাহান বলেন, সাহিত্যের সূতিকাগার যশোরে বড়সড় আয়োজনে এমন বইমেলা প্রতিবছর হওয়া উচিত। এ বছরের মেলায় এসে খুবই ভালো লাগছে। বিশেষ করে দরবারে মির্জা গালিব অসাধারণ আয়োজন। কবিতাপাঠ হচ্ছে। সেখানে কবি-সাহিত্যিকরা ভিড় জমাচ্ছেন। ভিন্নধর্মী এই আয়োজনে আমি মুগ্ধ। কবি আরশি গাইন বলেন, বইমেলায় দরবারে মির্জা গালিবের মতো আয়োজন দারুণ প্রভাব ফেলেছে। এটি প্রশংসার দাবি রাখে।
তরুণ কবি মানবেন্দ্র সাহা বলেন, অনেকদিন পর যশোরে বড় করে এমন একটি বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে বইয়ের সঙ্গে বইপ্রেমীদের পরিচয় ঘটছে। তবে, সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় দরবারে মির্জা গালিব। সেখানে প্রতিদিন সাহিত্যিকদের মিলনমেলা ঘটছে। এটা অনন্য। দোলন সম্পাদক ও কবি কামাল মোস্তফা বলেন, বইমেলায় সাহিত্যপ্রেমীরা আসছেন। বেশ জমজমাটই বলা যায়।
দরবারে মির্জা গালিবের নেতৃত্বে থাকা কবি ও অণুগল্পকার মামুন আজাদ বলেন, বই মেলায় বই থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। এর মধ্যে কবি-সাহিত্যিকদের জন্য মিলনস্থল করার একটি দাবি জানাই। জেলা প্রশাসন সেটি পূরণ করেছে। পরে সেটি দরবারে মির্জা গালিব নামে পরিচালিত হচ্ছে। যেহেতু আমি কবি মির্জা গালিবের ওপর গবেষণাধর্মী কাজ করছি, সেজন্য তার সম্মানে এই নামটি দেওয়া। এমন আয়োজনে কবি-সাহিত্যিকদের সঙ্গে থাকতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ।
আপনার মতামত লিখুন :