টেলিগ্রাম রিপোর্ট : জীবনের শেষ দিকে এসে আলোক রশ্মি দেখছেন কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের রাজনগর বাঁকাবর্শী গ্রামের মৃত পীর আলী সরদারের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। স্বামী মারা গেছেন। মারা গেছেন চার সন্তানও। নিঃস্ব মনোয়ারার ঠাঁই এখন ঝুপড়ি ঘরে। একাকী জীবনে খেয়ে না খেয়ে মানুষের দারে দারে ঘুরছেন।
এমনই একসময় তিনি সহানুুভূতি পেয়েছেন যশোরের আদালতের এক বিচারকের। ফলে, শেষ বয়সে স্বস্তি ফিরেছে মনোয়ারার জীবনে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলামের ব্যতিক্রমী এ মহানুভবতা মন কেড়েছে আইনজীবীদেরও।
এ বিষয়ে কোর্ট ইন্সপেক্টর রোকসানা খাতুন জানান, বিচারক তাকে বলার সাথেই তিনি কেশবপুর থানার ওসির সাথে কথা বলেন। একই সাথে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথেও কথা বলে বিষয়টি অবগত করেন।
এ বিষয়ে কেশবপুর থানার ওসি মফিজুর রহমান জানান, তাকে জানানোর পর তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছেন।
পাঁজিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন বলেন, তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন। তার সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন। যতদ্রুত সম্ভব মনোয়ারা যাতে ভাতা পান সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আবু মোর্তজা ছোট বলেন, বিচারকের এ ধরনের পদক্ষেপ নজিরবিহীন। বিচারিক কার্যাক্রমের পাশাপাশি মানবিক বিষয়ে যে কাজ তিনি করেছেন তাতে অনেকটা বিস্মিত হয়েছেন আইনজীবীরা। বিচারককে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবী সমিতির নতুন এই সেক্রেটারি।
আপনার মতামত লিখুন :