৫২শ’ মোমবাতি প্রজ্জ্বালনে ভাষা শহিদদের স্মরণ করল যশোরবাসী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁদেরহাটের উদ্যোগে যশোর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভাষা শহিদদের স্মরণ ও জাতীয় জীবনের সব অন্ধকার দূর করে নতুনে উদ্ভাসিত হওয়ার প্রত্যয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা মোমবাতি প্রজ্জ্বালন করেন। এর পর রাতে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আল্পনার রঙে আঁকা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, সালাম, বরকত, রফিক, জব্বররা কিন্তু বুকের রক্ত দিয়ে নিহত হওয়ার জন্য জীবন দেয়নি। তারা রক্ত দিয়েছিলেন মনের ডাকের জন্য। মায়ের ভাষার সম্মান রক্ষার জন্য। তারা কিন্তু জানতেন না; তারা মারা যাবেন। তারা শহীদ হয়ে যাবেন। তাদের মনের ডাক, বিশ^ বুঝতে পেরেছে অনেক বছর পর। এই দিনটা আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে স্বকৃতি দিয়ে। বাঙালি এমনই একটি জাতি। অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকে। নাড়ীর যে সংযোগ সেটা খুঁজে বেড়ায়। নাড়ির টানের সব সময় অগ্রসী ভ’মিকা পালন করে। সেই বাঙালিদের প্রতিনিধিত্ব করি আমরা। আজকের এই বিশেষ দিনে আমরা বিশেষ সেই শহীদদের স্মরণ করি, শ্রদ্ধা করি।’
বিকালে শহিদ মিনার চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী, সুরধুনী, পুনশ্চ, সুরবিতান ও ভৈরবের শিল্পীরা। গানে গানে ভাষা শহিদদের স্মরণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ৫ দিনের কর্মসূচি শুরু করে জাতীয় শিশু কিশোর ও যুব কল্যাণ সংগঠন চাঁদের হাট যশোর। এবারও একুশ স্মরণে ২১ জন বরেণ্য চিত্রশিল্পীর অংশগ্রহণে আর্ট ক্যাম্পের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় পাঁচদিন ব্যাপী কর্মসূচি। আট ক্যাম্পের চিত্রশিল্পীদের আঁকা ছবি যশোর শিল্পকলার আর্ট গ্যালারিতে আয়োজন করা হয় ৫ দিনের চিত্র প্রদর্শনী। আর গত সোমবার শহিদ মিনার চত্বর আল্পনা আঁকা হয়। ২০১৮ সাল থেকে শহিদ মিনারে আল্পনা আঁকা ও মোমবাতি প্রজ্জ্বালন কর্মসূচি পালন করছে চাঁদের হাট যশোর জেলা শাখা।
আপনার মতামত লিখুন :