বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন,
শিবিরের নেতাকর্মীদের ইনসাফ কায়েমের মাধ্যমে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নৈতিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে। ক্যাম্পাসগুলোতে তরুণ ছাত্রসমাজকে মাদক—সন্ত্রাস থেকে দূরে রেখে ইসলামের সুমহান আদর্শের পরিচয় তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসগুলোতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রত্যেকটি জনশক্তিকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংগঠনের যশোর অঞ্চলের সাথী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরোও বলেন, সংগঠনের প্রত্যেক দায়িত্বশীলকে জুলুমের অবসান করে ইনসাফ কায়েমের মাধ্যমে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে রাজপথে সাহসী ভূমিকা রাখতে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। কেন্দ্রীয় সভাপতি আরোও বলেন, শিবিরের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে তাকওয়াবান মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে, পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে ভালোবাসতে হবে এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করতে হবে। ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠার পর থেকে সকল জুলুম—বাধা আদর্শিক শক্তি দিয়ে প্রতিহত করেছে। দেশের যেকোনো সংকট ও ক্রান্তিকালে ছাত্রশিবির সর্বশক্তি দিয়ে সকল ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিবে।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক ও যশোর অঞ্চলের পরিচালক সালাহ উদ্দীনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যশোর শহর সাংগঠনিক জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রসূল, জেলা পূর্বের আমীর মাওলানা আব্দুল আজীজ, জেলা পশ্চিমের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগরের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান সাঈদ, যশোর শহর সাংগঠনিক জেলা সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান সোহাগ, এইচ এম শামীম, অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ নূরুজ্জামান, জেলা পূর্বের সাবেক সভাপতি আশিকুর রহমান। কুরআনের দারস পাঠ করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যশোর শহর সাংগঠনিক জেলার সহকারী অর্থ সম্পাদক আহসান কবির।
আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির যশোর জেলা পূর্বের সভাপতি রাকিব হাসান, জেলা পশ্চিমের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, নড়াইল জেলা সভাপতি মেহেদী হাসান, মাগুরা জেলা সভাপতি আশিক খানসহ ছাত্র শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলবৃন্দ। সাথী সমাবেশ পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির যশোর শহর সাংগঠনিক জেলার সেক্রেটারি আহমেদ ইবরাহিম।###
আপনার মতামত লিখুন :