টেলিগ্রাম রিপোর্ট : যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাচনে ২১ পদে ৫৩ ব্যবসায়ী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দু’টি প্যানেল থেকে তারা গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরমধ্যে সাধারণ সদস্যে ৩৬ জন, সহযোগীতে ১৫ ও গ্রুপ সদস্য পদে জমা দিয়েছেন ২ জন।
নির্বাচনে সম্মিলিত ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান ও যশোর ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের নেতৃত্বে রয়েছেন সংস্থার সাবেক নির্বাহী সদস্য হুমায়ুন কবীর কবু।
মিজানুর রহমান খানের প্যানেলে সাধারণ সদস্যরা হলেন, চেম্বারের সাবেক সহসভাপতি সাজ্জাদুর রহমান সুজা, তরুণ ব্যবসায়ী ও ক্রীড়ানুরাগী এজাজ উদ্দিন টিপু, সায়েম সিদ্দিকী, শেখ নূর ইসলাম, আবদুল হামিদ চাকলাদার ইদুল, সাকির আলী, এহসানুর রহমান লিটু, মোকসেদ আলী, মো. গুলশান, কবি কাসেদুজ্জামান সেলিম, কুদ্দুস আলী, আবু হোসেন, খায়রুল কবীর, মুকুল রেজা, শেখ শওকত আলী রনি, শেখ আতিকুর রহমান বাবু, রকিবুল ইসলাম চৌধুরী সঞ্জয়, শাহিনুর হোসেন ঠান্ডু ও আবুল হোসেন।
সহযোগী পদে রিজভী জাহাঙ্গির কিবরিয়া, সোহেল মাসুদ হাসান টিটো, তৌহিদুর রহমান, ইদ্রিস আলী, আজিজুর রহমান খান, শহিদুল ইসলাম ও শাহজাহান আলী খোকন।
হুমায়ুন কবীর কবু প্যানেলের সদস্যরা হলেন, সাবেক নির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান খান, আসাদুজামান মিঠু, আব্দুল মোনায়েম, আহসান হাবিব চৌধুরী, বদরুজ্জামান বাবলু, মজিবুর রহমান, আব্দুল মালেক, মাহবুব আলম লাভলু, রবিউল ইসলাম রবি, আহসান কবির নিপু, জাকির হোসেন পলাশ, কামাল হোসেন পলাশ ও মহাসিন আলী মিলন। সহযোগি পদে সাহিদুর রহমান টিটো, জিল্লুর রহমান, মশিয়ার রহমান, শাহিন রেজা, মোস্তফা খান ফিরোজ, হাফিজুর রহমান শিলু, শেখ সাইদুর রহমান।
গ্রুপ সদস্যরা হলেন শহিদুল ইসলাম মিলন ও সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল। এদুটি পদে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না। তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, রাজু আহম্মেদ, উজির আলী এবং সৈয়দ এনামুল কবির।
যশোর ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের প্যানেল লিডার মিজানুর রহমান খান বলেন, তার পরিষদ নির্বাচিত হলে সাধারণ ব্যবসায়ীসহ সকল ব্যবসায়ীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সর্বদা নিজেদেরকে নিয়োজিত রেখে নিরপেক্ষভাবে কাজ করবেন। এজন্য ভোটারদের তাদের প্যানেলে ভোট দেবার অনুরোধ করেছেন।
যশোর ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের লিডার হুমায়ন কবীর কবু বলেন, ব্যবসায়ীদের পক্ষে কাজ করতে তারা ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। নির্বাচিত হলে তারা ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় আন্তরিক হবেন। এজন্য ভোটারদের তাদের পাশে থাকার আহবান জানান।
নির্বাচন বোর্ড কমিটির আহ্বায়ক ও যশোরের সিনিয়র সহকারী কমিশনার কেএম আবু নওশাদ জানান, ২০২৩ সালের ৭ জানুয়ারি যশোর কালেক্টরেট স্কুল প্রাঙ্গণে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ভোট কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে যশোর কালেক্টরেট স্কুল। তফশীল অনুযায়ী সাধারণ সদস্য পদে ১২ জন, সহযোগী সদস্যপদে ৬ জন এবং গ্রুপ সদস্য (টাউন এসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপে) ৩ জন নির্বাচনযোগ্য হবেন।
আপনার মতামত লিখুন :