টেলিগ্রাম রিপোর্ট : যশোর জেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় বিদ্যালয়ের ১০০ গজের মধ্যে সিগারেটের দোকান অপসারণ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভাপতির বক্তব্যে যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেছেন, জেলার সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। এটা রোধে বিজিবির তৎপরতা আরো বাড়াতে হবে। সড়ক দূর্ঘটনা একটি জাতীয় সমস্যা। জেলায় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে এলাকা ভিত্তিক সচেতনতা বাড়াতে কাজ করা হবে। সেই সাথে বিদ্যালয়ের ১০০ গজের মধ্যে সিগারেটের দোকান অপসারণের বিষয়টি কার্যকর করা হবে।
সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার বলেছেন, তার কলেজের সামনে হোটেল, চারে দোকান আছে। ওই সব দোকানদারদের সিগারেট বিক্রি বন্ধের উদ্যোগ নিয়ে ছিলাম। তারা বলেছে এটা আপনার কলেজের ভেতরে বিষয় নয়। আমরা পৌরসভার জায়গায় দোকান দিয়েছি। তিনি আরো বলেন তার কলেজের ভেতরে সন্ধ্যার পর বহিরাগতদের আর আড্ডা হয় না। সেটা বন্ধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মাদক থেকে দুরে রাখতে অভিভাবক সমাবেশ করা অব্যাহত রয়েছে।
ডেপুটি সিভিল সর্জান ডাক্তার নাজমুস সাদিক বলেছেন, আগে তুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভাল আছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেছেন, অপরাধ দমনে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
বিআরটিএএর সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেছেন মনিরামপুরে বেগারে তলায় সড়ক দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চালকদের কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কবীর হোসেন বলেছেন ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাড়ানো হয়েছে। নিহতের পরিবারকে সেলাই মেশিন দেয়া হয়েছে। তবে তাদের স্বজন হারানোর যে শূন্যতা সেটা পুরণ করা সম্ভব নয়। তবে এ সড়কে দূর্গটনা রোধে সড়কে স্প্রিড ব্রেকার দেয়া প্রয়োজন।
প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন বলেন যেসব সড়কে সড়ক দূর্গটনা ঘটে। ওইসব সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক লেখা সাইন বোর্ড দেয়া উচিৎ।
অধ্যাপক মশিউল আযম বলেছেন মাদক চোরাচালান এখন শহর থেকে গ্রামে পৌঁছে গেছে। মাদকাসক্ত বেড়ে যাওয়ায় অনেক নেশাগ্রস্থ সন্তানের হাতে বাবামা প্রাণ হারিয়েছে। সেই সাথে কিশোর গ্যাং সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড বড়েছে। তাই জরালো ভাবে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রচারণা চালানো উচিত।
জেলা শিক্ষা অফিসার একেএম গোলাম আযম বলেছেন, জিলা স্কুলের সামনের দোকানে সিগারেট বিক্রি নিষেধ করা হয়েছে। তারা জানান সিগারেট বিক্রি করেন না। এজন্য তথ্য অফিসের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো প্রয়োজন। ২০২৩ সালের নতুন বকই কিভাবে পড়াতে হবে,তার উপর যশোর জেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক বিল্লাল বিন কাশেম বলেছেন,বর্তমানে যশোরের ভাল ভাল কলেজের শিক্ষার্থীরা মাদকাসক্ত হচ্ছে। এটা রোধে কলেজগুলোতে সচেতনতামুলক অনুষ্ঠান করা প্রয়োজন।
আপনার মতামত লিখুন :