টেলিগ্রাম রিপোর্ট : নিখোঁজের পর পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও স্কুল ছাত্র ইমরুল হাসান রাহুলের (১৫) এখনো সন্ধান মেলেনি। পুলিশ এখনো উদ্ধার করতে পারেনি রাহুলকে। রাহুল দাউদ পাবলিক স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্র। সে স্কুলের ক্যাপ্টেন ছিল। রাহুল নিখোঁজের ঘটনায় তার বাবা সাবেক সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মুহাম্মদ খলিলুর রহমান ১৫ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় জিডি করেন। নাম্বার ৮৩৩।
খলিলুর রহমান বলেন, সোমবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় তার ছেলে ইমরুল হাসান রাহুল দাউদ পাবলিক স্কুলে যায়। বিকাল সাড়ে ৩টায় স্কুল ছুটি হয়। ছুটির পর সে আর বাড়ি ফেরে না। আত্মীয় স্বজন, বন্ধু, বন্ধব ও প্রতিবেশিসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে তিনি কোতোয়ালি থানায় জিডি করেন। কিন্তু নিখোঁজের পর ৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো রাহুলকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
খলিলুর রহমান জানান, তিনি সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট পদে চাকরি করতেন। কলাবাগান খিতিবদিয়ায় আব্দুল মান্নানের বাড়ি ভাড়া থাকেন। চলতি বছরে অবসর গ্রহণ করেন। তার জানা মতে তার কোন শত্রু নেই। তার ছেলে রাহুল লেখাপড়ায় ভালো। ক্লাসে সে ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব পালন করে। যেদিন রাহুল নিখোঁজ হয় সেদিন তার কোচিং ছিলো। ওই দিন সে কোচিং না করে স্কুল থেকে বের হয়ে যায়। স্কুলের সিসি টিভির ফুটেজে ওই দিন দুপুর দেড়টার দিকে স্কুল থেকে সাইকেল নিয়ে বের হতে দেখা যায়। এর আগে ১৩ নভেম্বর রাহুলের একসহপাঠী ক্লাসে মোবাইল ফোন নিয়ে আসে। কেন ক্লাসে ফোন এনেছে সহপাঠীর কাছে রাহুল জানতে চায়। সহপাঠীর কাছ থেকে ফোন নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেবে বলে জানায়। বিষয়টি নিয়ে সহপাঠীর সাথে রাহুলের তর্কবিতর্ক হয়। সহপাঠী বিষয়টি তার বাবাকে জানায়। সহপাঠীর বাবা এসে উল্টো রাহুলের বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করে। স্কুলের শিক্ষকরা বিষয়টি নিয়ে রাহুলকে বকা দেয়। স্কুলের শিক্ষকদের বকাবকিতে অপমান বোধ করে রাহুল কোথায় চলে গিয়েছে; নাকি অন্য কিছু হয়েছে তা তিনি বুঝতে পারছেন না।
তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাজিয়ালি ক্যাম্পের এস আই সেলিম জানান, রাহুলের এখনো কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্তাধীন। পুলিশের পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষও রাহুলের খোঁজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :