টেলিগ্রাম রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে যশোরে বিরাজ করছে উৎসব মুখর পরিবেশ। সকাল থেকে রং বেরং এর পতাকা, ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে দলের কর্মী সমর্থকরা মিছিল সহকারে জনসভা স্থলে আসতে শুরু করেছে। জনসভঅ স্থল যশোর স্টেডিয়ামে জনগণের প্রবেশের জন্য ৫টি পয়েন্ট নির্ধারণ করেছে প্রশাসন। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন এবং জনসমাবেশ ঘিরে নিশ্চিত নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে প্রশাসন। জনসভাস্থলে পাঁচ স্তরের এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
আজ সকালে যশোর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর বলেন, ‘জনসভাস্থলে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। গোটা যশোর জেলার ৮ উপজেলা গোয়েন্দা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছে। বিভিন্ন স্তরে চৌকস অফিসার ও ফোর্স দায়িত্ব পালন করছেন।’
যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ রুপন কুমার সরকার বলেন, ‘জনসভা উপলে গোটা যশোর জেলাকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে আনা হয়েছে। শহরতলি থেকে শুরু করে গোটা এলাকায় প্রশিতি ফোর্স নিযুক্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জন্য পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাবেষ্টনী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েক শ’ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কয়েকটি ডগ স্কোয়াড টিমও কাজ করছে। পাঁচ স্তরের বাইরেও গুগল ও স্যাটেলাইট সহায়তা নিয়েও নিরাপত্তা পর্যবেণ করা হচ্ছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা জুড়ে রাস্তায় নিয়োজিত থাকছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।’
যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বলেন, ‘আজ প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলে সমগ্র যশোর জেলা ইতোমধ্যেই নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে। এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১৫ হাজার সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। সাদা পোশাকেও অনেকে ডিউটিতে নিয়োজিত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও জনসমাবেশে যদি কোনও পুলিশ সদস্য দায়িত্বে বিন্দুমাত্র অবহেলা করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ ডিউটিতে নিয়োজিত সব পুলিশ সদস্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।’
এদিকে সকাল ১০ টা থেকেই জনসভা স্থলে আসতে শুরু করেছে দলের কর্মী সমর্থকরা। মুল শহরের প্রবেশ মুখে তাদের বহনকারী বাস, মাইক্রোবাস থেকে শুরু করে সব ধরনের যানবাহন পাকির্ংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখান থেকে মিছিলসহকারে নেতাকর্মীরা পায়ে হেটে জনসভা স্থলে প্রবেশ করছে। জনসভঅ স্থলে প্রবেশের মুখ গুলোতে বসানো হয়েছে মেটাল ডিটেক্টর। এই তল্লাসী চৌকিতে সব মানুষকে তল্লাসী করে মুল মাঠে প্রবেশ করানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে জনসভা স্তলের একচতুথাংশ পূর্ণ হয়েছে । আ’লীগ নেতারা বলছেন এই জনসভঅ স্থলে কমপক্ষে ৫ লাখ মানুষের বসার সুব্যবস্থা রয়েছে। এছঅড়া স্টেডিয়ামের পাশে ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক কলেজ মাঠ, পৌর পার্ক, টাউন হল মাঠসহ আশে পাশের স্থান গুলোতে আরো ২/৩ লাখ জমায়েত হরেত পারবে।
ইতিমধ্যে জনসভার মঞ্চ্যে প্রবেশ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ ছাড়াও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম ও আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :