টেলিগ্রাম রিপোর্ট : শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘মানদৌস’। বুধবারই শক্তি বহুগুণ বাড়িয়েছিলো বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ বলয়। ভারতের পুদুচেরি ও তামিলনাড়ুতে জারি করা হয়েছে রেডঅ্যালার্ট। বৃহস্পতিবার সেটি আরো ক্ষমতা বাড়িয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশটির দক্ষিণ অংশে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হবে। এখন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে মানদৌস। এটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। উপকূলের কাছাকাছি এটি শক্তি হারিয়ে ফের সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব তামিলনাড়ুতে সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। কিছুটা পুদুচেরি ও দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল এলাকায়। ইতোমধ্যে ঝোড়ো হাওয়া, ভারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে এই তিন রাজ্যের উপকূলে। তামিলনাড়ুর বেশ কিছু উপকূলের জেলাগুলোতে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ সকালে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মানদৌস’ পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় মানদৌস বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার কোনো সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মানদৌস’ পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৫৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আজ সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
ভোরের দিকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। পরবর্তী তিন দিনে আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :