টেলিগ্রাম রিপোর্ট : ‘পাবলিক সার্ভিস ও ডিপ্লোমেসি’ ক্ষেত্রে তার‘অনুকরণীয় সাফল্যের’ জন্য গুসি শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় এ পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি।
গুসি শান্তি পুরস্কারটি ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অবস্থিত গুসি পিস প্রাইজ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। এটি এমন ব্যক্তি এবং সংস্থাকে দেওয়া হয় যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্ব শান্তি ও অগ্রগতিতে অবদান রাখে। পুরষ্কার অনুষ্ঠান গুলো প্রতি বছর নভেম্বরের চতুর্থ বুধবার, গুসি পিস পুরস্কার আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবসে অনুষ্ঠিত হয়। এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি প্রতি বছর নভেম্বরের চতুর্থ বুধবার গুসি পিস পুরস্কার আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবসে অনুষ্ঠিত হয়। এটি ফিলিপিনো ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় এবং চৌদ্দটি দেশের (অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, চীন, ভারত, ইতালি, জাপান, লিথুয়ানিয়া, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, নরওয়ে, সৌদি আরব, স্পেন এবং ফিলিপাইন) পুরস্কারপ্রাপ্তরা ২০২২ সালের এই পুরস্কারটি পেয়েছেন।
ডা. দীপু মনি ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী এবং ২০০৯ সাল থেকে চাঁদপুর-৩ আসনের প্রতিনিধিত্বকারী সংসদ সদস্য। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম মহিলা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত সর্বদলীয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন, ব্যাচেলর অব সার্জারিতে (এমবিবিএস) অধ্যয়ন করেন, পরে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ পাবলিক হেলথ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে মাস্টার্স করেন। ২০১৮ সালে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫০ বছরের নারী শিক্ষার ইতিহাসে ১৫০ জন নেতৃস্থানীয় নারীর একজন হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। তার বাবা এমএ ওয়াদুদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। যিনি প্রথম কাউন্সিল ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে তার ভূমিকার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন।
তিনি দেশের অক্সফোর্ড শিক্ষিত সিনিয়র অ্যাডভোকেট তৌফিক নওয়াজের স্ত্রী এবং তাদের দুই সন্তান তৌকির রাশাদ নওয়াজ এবং তানি দীপাবলি নওয়াজের মা।
আপনার মতামত লিখুন :