টেলিগ্রাম রিপোর্ট : যশোরের মণিরামপুর উপজেলার কামিনীডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে চাকরিতে অনার্স (সম্মান) পাসের ভুয়া সনদপত্র দাখিলের অভিযোগে সোমবার আদালতে মামলা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার রায় মামলাটি করেছেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা বসু অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত মো. কামরুল হাসান একই উপজেলার দত্তকোনা গ্রামের আব্দুল হামিদ হাজরার ছেলে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার রায় মামলায় উল্লেখ করেছেন, কামরুল হাসান ২০১১ সালের ২৪ জুলাই কামিনীডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদানকালে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০০৪ সালে যশোর এম এম কলেজ থেকে অর্থনীতি বিভাগ হতে অনার্সে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন মর্মে সত্যায়িত একটি ফটোকপি দাখিল করেন।
সেই থেকে আজ অবধি তিনি সহকারী শিক্ষক হিসেবে বেতন ও ভাতাসহ সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে আসছেন। এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে সকল শিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদপত্র ও মার্কশিট দিতে বলা হয়।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর প্রস্তুতি গ্রহণকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার রায়ের কাছে গচ্ছিত অনার্স (সম্মান) পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণের সত্যায়িত সনদের ফটোকপি কৌশলে তুলে নিয়ে তদস্থলে তৃতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণের সনদপত্র রেখে দেন কামরুল হাসান। বিষয়টি জানতে পেরে কামরুল হাসানের কাছে প্রতারণার কৈফিয়ত চান স্বপন কুমার রায়। স্বদুত্তর না পেয়ে মামলা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :