টেলিগ্রাম রিপোর্ট : ঋণ আদায়ের জন্য ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না- এই মর্মে দেওয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গত ২৩ নভেম্বর হাইকোর্ট এক রায়ে ঘোষণা দেয়, এখন থেকে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না।
রায়ে আরো বলা হয়, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য শুধু ২০০৩ সালের অর্থঋণ আইনের বর্ণিত উপায়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করতে পারবে। বর্তমানে আদালতে চলমান ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করা সব চেক ডিজঅনার মামলার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ঋণ আদায়ের জন্য এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংকের চেক ডিজঅনার মামলা বাতিল করে এ রায় দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ।
ওইদিন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি হাইকোর্টের রায়ের আলোকে নির্দেশনা জারি করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়াও সব প্রকার ঋণের বিপরীতে ইন্স্যুরেন্স কাভারেজ দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর, ২৮ নভেম্বর হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে শুনানির জন্য তা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান চেম্বার জজ আদালত। ২০১১ সালে ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ৪ লক্ষ টাকা ঋণ নেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর সেলিমগঞ্জের বরাইল মধ্যপাড়ার ক্ষুদ্রব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী। এই ঋণের টাকার ৩৬ কিস্তির মধ্যে ২২ কিস্তি দেন তিনি। বাকি কিস্তি জমা দিতে না পেরে ব্যাংককে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৯০৪ টাকার চেক দেন মোহাম্মদ আলী। কিন্তু এ চেক ডিজঅনার হওয়ায় ব্র্যাক ব্যাংক ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই তার বিরুদ্ধে মামলা করে। এ মামলায় ২০১৬ সালের ২০ জুন মোহাম্মদ আলীকে বিচারিক আদালত ছয় মাসের সাজা ও ২ লাখ ৯৫ হাজার ৯০৪ টাকা জরিমানা করেন।
আজ আদালতে ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মহোম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন। আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী।
আপনার মতামত লিখুন :