টেলিগ্রাম রিপোর্ট : মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার বয়োজৈষ্ঠ্য ব্যক্তিত্ব এবং শহীদ স্মৃতি মহা বিদ্যালয়, শমীকর- এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ সাবেক সংসদ সদস্য গণেশ চন্দ্র হালদারের মৃত্যুতে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মরহুম গণেশ চন্দ্র হালদার গৌরনদীতে আমার শিক্ষক ছিলেন। তিনি আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। আমি তার বিদেহী আত্নার শান্তি কামনা করছি। একই সাথে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। প্রয়াত গণেশ চন্দ্র হালদার একজন প্রতিভাবান ছাত্র ছিলেন। তিনি ১৯৫৭ সালে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষা কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে আইএসসি ও বিএসসি পাস করেন। এবং ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এমএসসি পাস করেন। কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন কলেজে গণিতের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি ১৯৭৩ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। এ কলেজটি এলাকার শিক্ষা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তার ছাত্র ছাত্রীরা দেশের সরকারী ও বেসরকারী চাকুরীতে গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত আছেন। তার অনেক ছাত্র ছাত্রী ব্যবসায়ী হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত । গণেশ স্যার আমার প্রতিবেশী। এলাকার একজন বয়োজেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব । তিনি এলাকার রাজনীতিতেও সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি এক স্নেহবৎসল ও অমাইক মানুষ ছিলেন। একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তার মৃত্যু ডাসারসহ মাদারীপুরবাসীর এবং দেশের জন্য অপূরনীয় ক্ষতি । গণেশ স্যার ডাসার উপজেলা গঠনে আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। আমার মনে আছে, ১৮ই মার্চ ২০১৯ সালে সরকারী শেখ হাসিনা একাডেমী এন্ড উইমেন্স কলেজ এক আন্তর্জাতিক শিক্ষা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে ভারতের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য প্রফেসর রঞ্জন চক্রবর্তি অংশ গ্রহণ করেছিলেন। গণেশ স্যার আমার ডাসারের বাড়িতে উপাচার্যে্যর সাথে সাক্ষাত করেন। স্যারের সাথে মতবিনিময় করে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য অত্যান্ত কৃতার্থ হন। সত্যিকার ভাবে গণেশ স্যার ছিলেন একজন উচু মানের মানুষ ও শিক্ষাবিদ।
আমি গণেশ স্যারের শোক সন্তোপ্ত পরিবার – পরিজন , আত্নীয় স্বজন, ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ ও শুভান্যুধায়ীসহ শশীকরে তার সতীর্থদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :