টেলিগ্রাম রিপোর্ট : যশোর টাউল হল মাঠে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুই দিন ব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শেষ হয়েছে । মেলায় যশোরের প্রতিভাবান ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন ডিজিটাল কন্টেন বা উদ্ভাবন স্থান পায়। মেলার শেষ দিনে বিচারকদের রায়ে এই ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের উৎসাহিত করতে করা হয় পুরস্কৃত। যার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে সাংবাদিক পুত্র শেখ নাঈম হাসান মুন। মুন যশোরের প্রতিভাবান সাংবাদিক শেখ রাজেক জাহাঙ্গীর দম্পত্তির একমাত্র সন্তান। তার আবিস্কৃত রোবট মানিক মিয়া এই মেলায় প্রথম স্থান অধিকার করে।
বঙ্গবন্ধুর গল্প ও যশোরের ইতিহাস বলতে পারে ‘রোবট’ মানিক মিয়া। কেউ জিজ্ঞেস করলে গল্প ও ইতিহাস বলা শুরু করে দেয় রোবটটি। যশোরে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় রোবটটির দেখা মেলে। গল্প ও ইতিহাস জানা এই রোবটটি মেলায় সবার নজর কাড়ে।
ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার জন্য রোবটটি তৈরি করেছেন শেখ নাঈম হাসান মুন। আলাপচারিতায় মুন জানান, অনেকেই বিভিন্ন ধরণের প্রজেক্ট তৈরি করে। আর আমি কাজ করেছি রোবট নিয়ে।
আধুনিক প্রযুক্তির এই রোবট তৈরি করে উন্মুক্ত গ্রুপে মুন প্রথম হয়েছে। রোববার ছিল যশোর জেলা প্রশাসন আয়োজিত দুই দিনের ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার সমাপনী। শহরের মুন্সী মেহেরুল্লাহ ময়দানে (টাউন হল মাঠ) এই মেলা হয়। এতে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উপজেলা প্রশাসন ও সরকারি দপ্তরের স্টল বসানো হয়। মেলায় শেখ নাঈম হাসান মুনের মানিক মিয়া রোবটটি ছিল সবচেয়ে দৃষ্টি আকর্ষিত।
এর পাশাপাশি যশোর শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা তৈরি করে আনে আল্ট্রা পাওয়ার সেভিং ভেহিক্যাল। দেখা যায়, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গাড়ির ছাদে ‘সোলার’ লাগানো। সামনে ফ্যান এবং নিচে ও মাঝখানে ম্যাগনেট বসানো। এই তিনটি মাধ্যমে দেশের আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। বৃষ্টির দিনেও বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হবে না।
মুসলিম একাডেমির শিক্ষার্থীরা উপস্থাপন করে যানজটমুক্ত দড়াটানা নামের একটি প্রজেক্ট। স্কুলটির শিক্ষার্থী ইমন হোসেন জানায়, দড়াটানায় প্রতিদিন যানজট হতে দেখি। এতে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এই যানজটের কারণে আমি দুঘর্টনায় আহত হই। সেই চিন্তাধারা থেকে এই প্রজেক্ট তৈরি।মেলায় সরকারি দপ্তরের স্টলগুলো থেকে দর্শনার্থীরা তাদের সেবা সম্পর্কে জানতে পেরেছে। কয়েকটি সরকারি দপ্তরের স্টল থেকে ফ্রি সেবা দেয়া হয়।কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের স্টল থেকে ৫শ’ জনকে রেজিস্ট্রেশন ও ফিঙ্গার প্রিন্টের কার্ড দেয়া হয়েছে। প্রধান ডাক ঘরের স্টল থেকে পর্চার আবেদন, খাজনা প্রদান, সঞ্জয় পত্র ইস্যু করা হয়। ডাকঘরের পরিদর্শক পবিত্র কুমার বিশ^াস জানান, সার্ভিস চার্জ ছাড়াই এই সেবা দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :