ঢাকা ১৯ মে ২০২৪, রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তীর্ণ হয়েও তার লেখাপড়া থমকে যেতে পারে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মেধাবী ছাত্রী শানজিতা আক্তার নদীর


টেলিগ্রাম রিপোর্ট প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৯, ২০২৪, ৮:৪২ অপরাহ্ণ / ২৭২২০
৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তীর্ণ হয়েও তার লেখাপড়া থমকে যেতে পারে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মেধাবী ছাত্রী শানজিতা আক্তার নদীর

মহেশপুর(ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ  দ্রারিদ্রতা প্রধান অন্তরায় ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মেধাবী ছাত্রী শানজিতা আক্তার নদীর ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তীর্ণ হয়েও তার লেখাপড়া থমকে যেতে পারে দারিদ্রতার কারণে।

মহেশপুর পৌরসভার জলিলপুর গ্রামের হাজীপাড়ার দীনমুজুর সিরাজুল ইসলাম ও সাবিনা ইয়ামিনের এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলেটি বড় এবার অর্নাস ৩য় বর্ষের ছাত্র। মেয়ে শানজিতা আক্তার নদী এবছর গোল্ডেন জিপিএ ৫+ পেয়ে মহেশপুর সরকারী ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দেয়।সে ঢাকা,জাহাঙ্গীনগর,রাজশাহী,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে কিন্তু ৪টি বিশ্বদ্যিালয়ে উত্তীর্ণ হয়েও থমকে যেতে পাড়ে তার লেখাপড়া। এবিষয়ে নদী ও তার মায়ের সাথে কথা বলে জানা গেছে ৫ শতক জমির পরে তাদের বসবাস। সংসারে এক মাত্র উপার্জনক্ষম সিরাজুল ইসলাম পরের জমিতে কামলা দিয়ে যা মুজুরী পায় তা দিয়ে ২টি ছেলে মেয়ের লেখাপাড়া ও সংসার চালানো বড়ই কষ্ট। নদীর মা সাবিনা ইয়ামিন জানান,ছাগল গরু হাঁস মুরগী পুসে এপর্যন্ত সংসার চালিয়ে এসেছে। ২টি গরুছিলো বিক্রয় করে ২ রুমের একটি ঘর করেছে কিন্ত তারা এখন আর ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার ভার বহণ করতে পারছে না। শতপ্রতিকূলতা ও দারিদ্রতা পেরিয়ে শিক্ষা জীবনে সব ক্ষের্তে প্রথম হয়েছে নদী। পিএইচসি থেকে এইচএসসি পর্য়ন্ত জিপিএ ৫+ ও ট্যালেনফুল বৃত্তী ও পেয়েছে। ২০২১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ট শিক্ষার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়। নজরুল সঙ্গীত,দেশাত্ববোধ গান সেরা ছাত্রীসহ বিভিন্ন বিয়য়ে ২০টিও বেশি পুরুষ্কার রয়েছে তার ঝুলিতে। শানজিতা আত্তার নদী এ প্রতিবেদককে বলেন,শিক্ষাঙ্গনে সব প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আমি প্রথম হয়েছি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের লেখাপড়া করে বিচার বিভাগে চাকরি করতে চাই। বিচার বিভাগে কেনো চাকরি করতে চায় এমন প্রশ্নের উত্তরে নদী জানায়,বিচার বিভাগে র্দীঘশত্রæতা হয়রাণি পেরশাশির আমি আমার পরিবার থেকে দেখতে পেরেছি। যার অবসান দুর করার জন্য আমি এ চাকরি করতে চাই এবং আমার মেধা দেশে ও জাতির কল্যাণে উৎসর্গ করতে চায়। সাঙ্গাতকারে নদী জানায় দৌনিক ৮ /৯ ঘন্টা লেখাপড়া করেছে। তার এই সফলতা পিছনে পিতা মাতা ও শিক্ষাকরা দারুণ ভাবে সহযোগিতা করেছে। এজন্য তাদের প্রতি কৃজ্ঞ। নদীর মা বলেন ছেলে মেয়ে লেখাপগড়া করাতে যেহে পাড়াপ্রতিবেশিদের কাছে হেনেচ্ছাতা ও প্রতিবন্ধীতা শিকার হয়েছে। যে কারণে তার মেয়ে বিচারের বিভাবে চাকরি করতে চায় কিন্ত দ্রারিদ্রতার কারণে তার সে আশা পুরণ হবে কি?

Archive Calendar

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031