মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর যশোর শহরসহ জেলাব্যাপী আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বেশ কিছু ঘটনা মানুষকে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করে তোলে। বিশেষ করে কয়েকটি হত্যাকান্ড এবং রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় মানুষের মধ্যে গভীরভাবে রেখাপাত করে। এমন একটি পরিস্থিতিতে সবাই যখন আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির আশংকার মধ্যে রয়েছে তখন যশোর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি গৃহীত কয়েকটি পদক্ষেপে পরিস্থিতির উন্নয়নের প্রচেষ্টা দৃশ্যমান হচ্ছে।
এমনিতেই যশোরবাসী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকেই চরম উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। তারসাথে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাজনিত কারণে একের পর এক হত্যা ও প্রতিপক্ষের উপর হামলা সংঘটিত হওয়ায় মানুষের সেই আশংকা আরও বেড়ে যায়। এমনই পরিস্থিতিতে যশোর শহরের চিহ্নিত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী এবং দাগী অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনের জিরো টলারেন্স ঘোষণা ও তার বাস্তবায়নে অব্যাহত অভিযান মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনছে। পুলিশ প্রশাসনের এই ভূমিকা শুধু জেলা সদরেই দেখা যাচ্ছে না, জেলার অন্যান্য পুলিশ স্টেশনগুলোতেও দেখা যাচ্ছে।
সংবাদপত্রের মাধ্যমে রাইটস যশোর জানতে পেরেছে যশোরের পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে প্রতিটি থানায় একই ভূমিকা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নেও জেলার পক্ষ থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে বলেও দেখা যাচ্ছে। যারা সমাজবিরোধী হিসেবে জেলাব্যাপী চিহ্নিত রাজনৈতিক আশ্রয় ও প্রশ্রয় পাওয়া সেইসব অপরাধীদের আস্তানায় পুলিশের একের পর এক অভিযানে গত কয়েকদিন যশোর শহরের পরস্থিতি সন্তোষজনক অবস্থায় উন্নীত হয়েছে বলেও দৃশ্যমান হয়েছে।
এইরূপ পরিস্থিতিতে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর মনে করে যশোর পুলিশ প্রশাসনের এই অভিযান যাতে শেষ পর্যন্ত একটি শান্তি ও স্বস্তিময় সমাজ বিনির্মাণের ভূমিকায় পর্যবসিত হয় সে ব্যাপারে পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তারা আন্তরিকতা অব্যাহত রাখবেন। একইসাথে চলমান অভিযানে প্রকৃত অপরাধীদের সকলকেই আইনের আওতায় আনাও জরুরি মনে করে সংস্থা। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক পক্ষপাতহীন ভূমিকা প্রত্যাশা করে মানুষ। আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান-সংবিধানের এই মহান বাণীকে কাজে ব্যবহার করে কে নেতা, কে জনপ্রতিনিধি আর কে সাধারণ অপরাধী তার বিচার না করে অপরাধীমাত্রই সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে বলে রাইটস যশোরের প্রত্যাশা।
রাইটস যশোর মনে করে জেলার প্রধান হিসেবে যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানকে যশোরবাসী ব্যাপকভাবে গ্রহণ করেছে এবং সাধুবাদ জানাচ্ছে। এমন সময় একটি রাজনৈতিক মহল অভিযানের নেতৃত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে যশোর থেকে বদলী করতে যে সুপারিশ করছেন তা গ্রহণযোগ্য না। এটা সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকে আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেয়ার সামিল বলেই মনে করে রাইটস যশোর। যারা বুঝে বা না বুঝে এই ন্যাক্কারজনক কাজ করছেন তাদেরকে নিবৃত হয়ে পুলিশের সাথে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা উচিৎ বলেও মনে করে রাইটস যশোর।- প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আপনার মতামত লিখুন :