ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস বুধবার সূচকের বড় পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। ধারাবাহিক সূচকের পতনের ফলে ডিএসই’র সার্বিক মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫ হাজার ৮০০ পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছে, যা প্রায় তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এতে অনেক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
এদিকে গত ১৮ জানুয়ারি ফ্লোর প্রাইস পদ্ধতি তুলে নেয়ার পর থেকে প্রধান সূচকটি মোট ৫৭২ পয়েন্ট হারিয়েছে এবং বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইতে বুধবার সব ধরনের সূচক মেছে। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৭১.৭০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭৬২.৬৮ পয়েন্টে। যা প্রায় বিগত ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। এর আগে ২০২১ সালের ১২ই মে ডিএসইর সূচক দাঁড়িয়েছিল ৫ হাজার ৭৫০.৪৯ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়া সূচক ১৪.৮১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৫২ পয়েন্টে এবং ডিএস ৩০ সূচক ১২.৮৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩৮টি কোম্পানির, কমেছে ৩২১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭টির।
ডিএসইতে এদিন মোট ৫৩৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৪৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স ৭২.১৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৯৫৬ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৪.৮৩ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ৫৭৯ পয়েন্টে, শরিয়া সূচক ৭.২৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৪ পয়েন্টে এবং সিএসই৩০ সূচক ১১.২৭ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৬৭১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন, সিএসইতে ২২৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৪৩টি কোম্পানির, কমেছে ১৬৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯টির। দিন শেষে সিএসইতে ৯৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৬ কোটি ২৮ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ডিএসই’র পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, শেয়ারবাজারে উত্থান পতন থাকবে। এটাই নিয়ম। তবে, পতন বাজারে শেয়ার লসে বিক্রি না করে বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য ধরতে হবে।
ফয়সাল নামের একজন বিনিয়োগকারী বলেন, ফ্লোর প্রাইজ আরোপ সময় আমার লস ১০ থেকে ১৩ শতাংশর মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। কিন্তু ফ্লোর প্রাইজ তুলে দেয়ার পর সেই লস ৩১ শতাংশে পৌঁছেছে বর্তমানে। পুঁজির ১৮ শতাংশই হারিয়েছি। সামনে কোনদিকে যাবে সেই চিন্তাই করছি।
আপনার মতামত লিখুন :