অভয়নগরের ভবদহ অধ্যুষিত এলাকায় শুরু হলো নতুন কর্মযজ্ঞ। বলা যায় এক বিশাল উন্নয়ন কর্মকান্ডের যাত্রা শুরু হলো জমি হস্তান্তরের মধ্যদিয়ে। যশোর জেলা প্রশাসক প্রায় ৩শ’ কোটি টাকা মুল্যের ৫০৩ একর জমি ইপিজেড কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছেন। যেখানে গড়ে উঠবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন অসংখ্য শিল্প-কারখানা।
শনিবার সকালে যশোরের অভয়নগর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাসান মজুমদারের সভাপতিত্বে জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেপজার যুগ্ম সচিব ও সদস্য (প্রকৌশল) মোহাম্মদ ফারুক আলম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন সরকার, অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ, স্থানীয় প্রেমবাগ ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম মল্লিক, সাধারন সম্পাদক মোজাফ্ফার আহমেদ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, হস্তান্তরযোগ্য জমি মাগুরা মৌজায় ১.২৯০ একর, রাজাপুর মৌজায় ৯০.৬৮৫ একর, প্রেমবাগ মৌজায় ১৭৫.০৮২ একর, চেঙ্গুটিয়া মৌজায় ২৬.৭৮ একর, আরাজি বাহিরঘাট মৌজায় ৯৭.৬৯৭ একর, বালিয়াডাঙ্গা মৌজায় ১০৯.৭৭২ একর, মহাকাল মৌজায় ১.৪৫০ একর,আমডাঙ্গা মৌজায় ০.১৫০ একর। মোট জমির পরিমাণ ৫০২.৯০৬ একর। যার প্রাক্কলিত মূল্য ২৬৬ কোটি ৪৪ লাখ ৩৬ হাজার ৫’শ ৩১ টাকা ৯৮ পয়সা মাত্র।
তবে জমির মালিকদের দাবি, যশোর রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ করে ২০২১ সালে। কিন্তু অদ্যাবধি জমির মালিকরা কোন টাকা পাননি। কবে পাবেন তা নিয়েও তারা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন।
জমির মালিকরা বলছেন, প্রতি বছরই বাড়ছে জমির দাম। উপস্থিত জমির মালিকরা জানান, সরকার গত দুই বছর আগে জমি অধিগ্রহণ করলেও জমির বর্তমান বাজার দর নিয়ে রয়েছে নানা জটিলতা। তারা জমির ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়ায় আশংক্ষায় বিভিন্ন সময় মানব বন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
এ সময় জেলা প্রশাসকের নিকট জমির মালিকরা ন্যায্য মূল্য পাওয়ার দাবি জানান। তারা বলেন, তাদের মূল্য দেওয়া হচ্ছে ২১ সালের মূল্য তালিকায়। কিন্তু বর্তমানে এ জমির দাম আরও বেড়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :