ঢাকা ০৬ মে ২০২৪, সোমবার, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

‘আমি খুব ভাগ্যবান, জেনিফারকে পেয়েছি’


টেলিগ্রাম রিপোর্ট প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩, ৫:১০ অপরাহ্ণ / ২৭২২০
‘আমি খুব ভাগ্যবান, জেনিফারকে পেয়েছি’
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :  ভালোবাসার টানে জার্মান থেকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে প্রেমিকের কাছে ছুটে এলেন এক তরুণী। গতকাল রবিবার গোপালগঞ্জের একটি আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

জার্মানির ওই তরুণীর নাম জেনিফার স্ট্রায়াস। তিনি জার্মানির বাইলেফেল্ড স্টেটের বাসিন্দা জোসেফ স্ট্রায়াস ও এসাবেলা স্ট্রয়াস দম্পতির একমাত্র মেয়ে। প্রেমিক বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার জোতকুড়ো গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম ও ঝর্ণা বেগম দম্পতির ছেলে চয়ন ইসলাম।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বাবা প্রবাসী হওয়ার সুবাদে ছয় বছর আগে ইতালিতে যান চয়ন। কিছুদিন পর সেখান থেকে তিনি চলে যান জার্মানিতে। পাঁচ বছর আগে একটি ভাষার কোর্সে ভর্তি হলে সেখানে পরিচয় হয় জেনিফারের সঙ্গে। পরে তা রূপ নেয়ে প্রেমে।
চার বছর পর ২০২২ সালের ১০ মার্চ চয়ন বাংলাদেশে চলে আসেন। কিন্তু তাতে জেনিফার ও চয়নের মধ্যে প্রেমের কোনো ফাটল ধরেনি। ভালোবাসার টানে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে জেনিফার ছুটে এসেছেন চয়নের কাছে।

১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন জেনিফার। সেখান থেকে চয়ন ও তার স্বজনরা জেনিফারকে গোপালগঞ্জে নিয়ে আসে। পরে গতকাল রবিবার গোপালগঞ্জের একটি আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন হয় তাদের।

বাবা জোসেফ ট্রায়াস মেয়ে জেনিফারে সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন বলে জানিয়েছে চয়নের পরিবার। কিছুদিন পর জেনিফার বাবা বাংলাদেশ আসবেন এবং মেয়ের বিয়ে ধুমধাম করে দেবেন বলেও জানান তারা।

চয়ন ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি খুব ভাগ্যবান, জেনিফারকে পেয়েছি। সে আমার জন্য এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছে। আমাকে বিয়ে করেছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমরা যেন সারা জীবন একসাথে কাটাতে পারি এবং সুখী হতে পারি।’

জেনিফার বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমি ভালোবেসে চলে এসছি। চয়নকে বিয়ে করে খুব খুশি হয়েছি। এখানকার পরিবেশ, আতিথেয়তা ও সবার ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। পরিবারের সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছে।’

Archive Calendar

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031